আইপিএল চলছে। পঞ্জাব ও লখনউ ম্যাচ ছিল। My11Circle-এ ৪৯ টাকার বাজি ধরেন বিক্রম। তাঁর আন্দাজ একদম ঠিক ছিল। তাতেই প্রথম পুরস্কার হিসেবে তিনি পাচ্ছেন ৩ কোটি টাকা এবং থর গাড়ি। মজার বিষয় হল, নিজের নয়, মেয়ের নামে আইডি খুলেছিলেন বিক্রম।
আরও পড়ুন– কেউটে সাপের মুখে পড়লে কী করবেন? মাথা ঠান্ডা রেখে এই কাজ করতে পারলে তবেই প্রাণে বাঁচবেন
advertisement
শুধু My11Circle-ই নয়, বিক্রম Dream11-এও দুটি দল তৈরি করেছিলেন। সেখানেও ১ লাখ করে মোট ২ লাখ টাকা জিতেছেন। যাকে বলে সোনায় সোহাগা। বিক্রমের এমন ‘লটারি ভাগ্যে’ গোটা পরিবারে খুশির হাওয়া।
বিক্রম গ্রামেই একটি কমন সার্ভিস সেন্টার চালান। নিম্নবিত্ত পরিবার। বিক্রম বলছেন, “My11Circle-এ পঞ্জাব বনাম লখনউ ম্যাচে ৪৯ টাকার বাজি ধরেছিলাম। তাতেই ৩ কোটি টাকা ও একটি থর জিতেছি। কিন্তু সবাইকে বলব, শখের জন্য খেলুন, আসক্ত হবেন না।’’
বিক্রমের স্ত্রী রেখা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর বাবা কৃষক। কিছু জমি ইজারা নিয়েও চাষ করেন। স্বামীর অর্থলাভে রেখা খুব খুশি। এত টাকা নিয়ে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। তাঁর কথায়, “আমার স্বামী গত ৫ বছর ধরে খেলছেন। এতদিনে ভাগ্যের চাকা ঘুরল। ভাগ্যের জোরেই ৩ কোটি টাকা জিতেছেন। আমার এত আনন্দ হচ্ছে, কী করব বুঝতে পারছি না। তবে সন্তানদের পড়াশোনাই আমাদের কাছে সবার আগে।’’
বিক্রমের মা মুক্তিদেবীও আনন্দিত। তিনিও বলেন, “ছেলে ৩ কোটি টাকা আর একটা থর গাড়ি জিতেছে, আমরা সবাই খুব খুশি।’’ তবে শুধু পরিবার নয়, বিক্রমের কোটিপতি হওয়ার খবরে গোটা গ্রামেই এখন খুশির হাওয়া।
কোটিপতি হলেও পা মাটিতেই রয়েছে বিক্রমের। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, “এটা পুরোপুরি ভাগ্যের খেলা। বিক্রমের কথায়, “ক্রিকেট নিয়ে কিছুটা ধারণা আছে। তবে এটা পুরোটাই ভাগ্যের ব্যাপার। অনুমানের উপরেই অনেক কিছু নির্ভর করে।’’ আগামী দিনেও তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। আর কাজ? না, হাতে কোটি কোটি টাকা এলেও ছেলে কাজ ছাড়বে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিক্রমের বাবা। বিক্রম নিজেও এমনটাই চান।