সেনসেক্স (Sensex) সোমবার বন্ধ হওয়ার সময় ১৪৫৭ পয়েন্ট কমে ৫২৮৪৭-এর স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। আবার একই সময়ে নিফটি (Nifty) ৪২৭ পয়েন্ট কমে ১৫৭৭৪-এর স্তরে পৌঁছে বন্ধ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, আজও শেয়ার বাজারে বিক্রিবাটার মনোভাবই বেশি প্রাধান্য পাবে এবং দ্বিতীয় দিনেও বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পুনরুদ্ধার করার দিকে বেশি ঝুঁকবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। গোটা এশিয়া এবং আমেরিকার বাজারে পতনের প্রভাব ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের উপরও দেখা যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন - ২৩ দিনে রোগীকে ১৯১টি অন্তর্বাস পরিয়ে বিল ৩০ হাজার! কাঠগড়ায় সল্টলেক আমরি হাসপাতাল
মার্কিন ও ইউরোপের বাজারে বড়সড় পতন:
কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মুখ দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তা প্রতিরোধ করতে ফেডারেল রিজার্ভ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সুদের হার বাড়াতে পারে। এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পর সেখানকার সমস্ত প্রধান শেয়ার বাজার বড়সড় পতনের সম্মুখীন হয়েছে। গত ট্রেডিং সেশনে, আমেরিকার প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ এসঅ্যান্ডপি ৫০০ (S&P 500) ২.৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যেখানে ডাও জোন্স (Dow Jones) ২.১ শতাংশ এবং ন্যাসডাক (NASDAQ) ৪.৬৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আমেরিকার শেয়ার বাজারের এমন অবস্থা দেখে ইউরোপের সমস্ত বড় শেয়ার বাজারেও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর জেরে বিগত সেশনে সেখানে বড়সড় পতন দেখা যায়। ইউরোপের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ জার্মানি-র ক্ষেত্রে গত ট্রেডিং সেশনে ২.৪৩ শতাংশের বড়সড় পতন দেখা গিয়েছে। সেখানে ফ্রান্সের শেয়ার বাজারে ২.৬৭ শতাংশ এবং লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে ১.৫৩ শতাংশের বড় ক্ষতি দেখা যায়।
আরও পড়ুন - IPL 2023-27 দেখতে কোন টিভি চ্যানেলে আর ফোনে দেখলে কোথায় দেখবেন
এশিয়ার বাজারে আজ বিক্রি:
আমেরিকা এবং ইউরোপের বাজারে অব্যাহত পতনের ধারা। এরই প্রভাব আজ এশিয়ার সমস্ত প্রধান শেয়ার বাজারগুলিতেও দৃশ্যমান। ফলে এদিন ওই সব শেয়ার বাজার খোলার সময় লাল সঙ্কেত দেখা গিয়েছিল। সিঙ্গাপুরের স্টক এক্সচেঞ্জে আজ সকালে ০.৪৩ শতাংশ পতন দেখা যাচ্ছে, যেখানে জাপানের নিক্কেই ১.৯১ শতাংশ লোকসানে লেনদেন করছে। এ ছাড়া তাইওয়ানের বাজার ০.৫১ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বাজার ১.০৮ শতাংশ পতনের মুখ দেখেছে। চিনের শেয়ার বাজার সাংহাই কম্পোজিটেও আজ সকালে ০.০১ শতাংশ লোকসান দেখা গিয়েছে।
ক্রমাগত টাকা তুলে নিচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা:
ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ক্রমাগত টাকা তুলে নিচ্ছে এবং এই ধারা বেড়েই চলেছে। বিগত সেশনেও বিদেশি সংস্থাগত বিনিয়োগকারী বা এফআইআই (FIIs)-রা শেয়ার বিক্রি করে ভারতীয় বাজার থেকে ৪১৬৪.০১ কোটি টাকার মূলধন বের করে নিয়েছে। এরই মধ্যে আবার দেশীয় সংস্থাগত বিনিয়োগকারীরা বাজারে প্রায় ২৮১৪.৫০ কোটি টাকা ঢেলেছে। কিন্তু বড় পতন এড়ানো যায়নি। চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত রেকর্ড ২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে দেশীয় বিনিয়োগকারীরা।