বিভিন্ন আর্থিক লক্ষ্য পূরণের জন্য যথেষ্ট সম্পদ বা মূলধন তৈরি করাই বিনিয়োগের প্রধান কারণ। বিনিয়োগকারী যে সম্পদ তৈরি করতে চান সেটা এক কোটি বা তার বেশি হতে পারে। আসল কথা হল, কেন অর্থের প্রয়োজন এবং ভবিষ্যতে সেই অর্থ কীভাবে ব্যবহার করা হবে তার উপরেই পুরোটা নির্ভর করছে। সেটা বাড়ি বা গাড়ি কেনা হতে পারে কিংবা সন্তানের উচ্চশিক্ষা বা বিদেশ ভ্রমণ। কিন্তু বিনিয়োগের কর্মক্ষমতা অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৃদ্ধির পরিমাপ না করলে বিনিয়োগ অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়।
advertisement
আরও পড়ুন: তরতরিয়ে ছুটছে রিলায়েন্সের ঘোড়া, জিও ও রিটেলে ২১ শতাংশ আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা
দুটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট: বিনিয়োগকারীকে অবশ্যই প্রতিটি আর্থিক লক্ষ্যকে একটি সময়সীমার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ কিছু বিনিয়োগ স্বল্প থেকে মাঝারি মেয়াদে কিছু দীর্ঘ এবং কিছু বিনিয়োগ সময়ের সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। সোজা কথায়, আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিনিয়োগগুলিকে ধরে রাখাই মূল কথা।
যারা রাতারাতি টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তাদের এড়িয়ে চলাই উচিত। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে আর্থিক সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয় এমন কোনও শর্টকাট নেই। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে সময় লাগে। সফল বিনিয়োগকারীর মধ্যে দুটি বৈশিষ্ট থাকতেই হবে: শৃঙ্খলা এবং ধৈর্য। কিন্তু অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই এই দুটি গুণের অভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্যাক্স স্ল্যাব পরিবর্তনের কথা ভাবছে কেন্দ্র, বাজেটেই হতে পারে ঘোষণা?
স্টক মার্কেটে সময় দেওয়া বনাম স্টক মার্কেটের সঠিক সময়: ওয়ারেন বাফেট বহুবার বলেছেন, ‘স্টক মার্কেটে সময় দেওয়ার বদলে স্টক মার্কেটের সঠিক সময় বুঝতে হবে’। সম্প্রতি বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিজেদের স্টক ছেড়ে দিচ্ছেন। ফলে কিছু দিন ধরে শেয়ার বাজার ক্রমাগত পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যদিও দেশের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ক্রমাগত স্টক কেনার মাধ্যমে পোর্টফোলিও ধরে রাখতে পেরেছে।
ঠিক সময়ে বাজারে প্রবেশ করে ঠিক সময়ে বেরিয়ে যাওয়ার মতো বিনিয়োগকারীর সংখ্যা হাতে গোনা। বেশিভাগই হাত পোড়ায়। ২০২০-র এপ্রিলে অর্থাৎ করোনা মহামারীর সময়েও যে সব বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত না হয়ে স্টক ধরে রেখেছিলেন, পরবর্তীকালে তাঁদের সম্পদ দ্বিগুণ এমনকী তিনগুণও হয়েছে। এক বছরের মধ্যে বাজার তাঁদের প্রায় সমস্ত ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ কোনও ঘটনায় বিচলিত না হয়ে স্টক ধরে রাখাটাও বড় গুণ।
