করদাতারা আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে বিনিয়োগের উপর সর্বাধিক ১.৫০ লক্ষ টাকা কর ছাড় পান। এই ধারায় কর ছাড় পাওয়ার জন্য বিনিয়োগের অনেক বিকল্প রয়েছে। তবে এর মধ্যে সেরা বিকল্প হল ইএলএসএস-এ বিনিয়োগ করা। এই বিনিয়োগ বিকল্পের জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইএলএসএস প্রকল্পে স্রেফ তিন বছরের লক-ইন (অন্য জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির থেকে দুই বছর কম), ইক্যুইটির দরুণ ক্যাপিটাল গ্রোথ পাওয়ার সুযোগ, লক-ইন শেষ হলেও বিনিয়োগ ধরে রাখলে তা আরও ফুলে ফেঁপে ওঠার সম্ভাবনা। মাথায় রাখতে হবে, এই প্রকল্পটি সাধারণত ডাইভারসিফায়েড ইক্যুইটি ফান্ড হিসাবে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীর টাকা কোনও বিশেষ শ্রেণীর শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয় না। এই প্রকল্পের টাকা খাটে এমন শেয়ারে যেখানে লাভের সুযোগ বেশি।
advertisement
আরও পড়ুন: কর চালু হওয়ার জের, ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনে ব্যাপক পতন
অন্য সব প্রকল্পে কিন্তু এই ভাবে লগ্নির টাকা বাড়াবার সুযোগ নেই। সেখানে লাভ সেই নির্দিষ্ট হারের সুদ। কিন্তু ইএলএসএস-এ বাজারের তালে তাল মিলিয়ে বিনিয়োগকারীর লগ্নির টাকা বাড়ে। তিন বছর বাদে সেই টাকা তুলে নেওয়া যায় অথবা টাকা না তুলে আরও বাড়ার সুযোগ দেওয়া যায়। খুব প্রয়োজন না থাকলে টাকা ধরে রাখাটাই ভালো। তাতে বাজারের সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগকারীর প্রাথমিক লগ্নি আরও বাড়বে।
ইএলএসএস-এ বিনিয়োগ করে বছরে সর্বোচ্চ ৪৬৮০০ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স বাঁচানো যায়। ৮০সি-র সর্বোচ্চ সীমায় ইএলএসএস-এ ১.৫০ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা যেতে পারে, তবে বিনিয়োগকারী শুধুমাত্র ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের সুবিধাই পাবেন। এছাড়াও এই বিনিয়োগের উপর মূলধন লাভ কর দিতে হয়। ১ লক্ষ টাকার উপরে মূলধন লাভ করের ১০ শতাংশ সুদ দিতে হবে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, ১০ বছরের বেশি মেয়াদের ইএলএসএস-এ এখনও পর্যন্ত ১২ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে। সেই তুলনায় পিপিএফ-এ ৮ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া গিয়েছে। মনে রাখতে হবে, কর বাঁচানো ছাড়াও, আজকের মুদ্রাস্ফীতির প্রেক্ষিতে লগ্নির বৃদ্ধি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্য।