আরও পড়ুন: পঞ্জিকা ২৮ ডিসেম্বর: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন!
কোটি টাকার ফান্ড
যদি কেউ ২৫ বছর বয়সে চাকরি শুরু করে থাকে এবং প্রতি মাসে তার বেসিক বেতন ২০,০০০ টাকা হয়, তাহলে প্রতি মাসে তার প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ৪৮০০ টাকা। এর মধ্যে ১২ শতাংশ নিজের এবং ১২ শতাংশ কোম্পানির। এর ফলে ১ বছরে প্রায় ৫৭,৬০০ টাকা ফান্ডে জমা হবে। এভাবে ৩৫ বছর পর অবসরের সময় সেই ফান্ডে প্রায় ২ কোটি টাকার বেশি জমা হবে। এছাড়াও এর সঙ্গে সুদ যোগ হয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো একটি ফান্ড তৈরি হবে। বর্তমানে প্রভিডেন্ট ফান্ডে বছরে প্রায় ৮.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে বদলে যাচ্ছে এই কয়েকটি দ্রব্যে জিএসটির পরিমাণ, দেখে নিন
ট্যাক্স ছাড়
বেতন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার পরিমাণ বাড়তে থাকবে। সুতরাং ২৫ বছর বয়স থেকেই শুরু করা এই বিনিয়োগ কোটিপতি করবে বিনিয়োগকারীকে। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে এখানে যত দেরি করে বিনিয়োগ শুরু করা হবে, ফান্ডের টাকার পরিমাণ তত কম হবে। প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ পুরোপুরি ট্যাক্স মুক্ত হয়। এখানে বিনিয়োগ, সুদ এবং টাকা তোলার ক্ষেত্রে কোনও রকম ট্যাক্স দিতে হয় না।
আরও পড়ুন: মার্চের আগে এই কাজটি করলে আপনার অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০ হাজার টাকা পাঠাবে কেন্দ্র সরকার
এই বিষয়ে আরও যা খেয়াল রাখা দরকার
প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা টাকা কোনও ভাবেই তোলা উচিত নয়। কারণ একবার এই ফান্ডে হাত পড়লে নিজেদের অবসরের প্ল্যান পূরণ করা কখনও সম্ভব হবে না। প্রভিডেন্ট ফান্ডের থেকে টাকা বের করে নিলে টাকার পরিমাণ কমে যাবে। একই সঙ্গে টাকার পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে সুদের পরিমাণও কম হবে। এর ফলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার মোট পরিমাণ কম হবে। নিজেদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের থেকে কয়েক হাজার টাকা তুলে নিলেও অবসরের সময় তার প্রভাব পড়বে কয়েক গুণ। এছাড়াও আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, চাকরি বদলানোর পর নিজেদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের অ্যাকাউন্ট নতুন কোম্পানিতে ট্রান্সফার করতে হবে।