ইদানীং স্বাস্থ্য বিমা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড ইকুইটি ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান দেখলেই এটা স্পষ্ট বোঝা যায়। ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, করোনা অতিমারীর মধ্যে স্বাস্থ্য বিমার ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে ২০২১ সালের মার্চ মাসে নন-লাইফ ইনস্যুরেন্স সেক্টরে স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানি ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে (Health Insurance Policy)।
তবে স্বাস্থ্য বিমা নিয়ে সচেতনতা বাড়লেও সবার হাতে স্বাস্থ্য বিমা পৌঁছতে এখনও ঢের দেরি। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য উন্নত মানের চিকিৎসা অপরিহার্য। এখানেই স্বাস্থ্য বিমার গুরুত্ব। এই নিয়ে প্রথমবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিয়েছেন এসবিআই জেনারেল ইনস্যুরেন্সের হেড অফ হেলথ বিজনেস শ্রীরাজ দেশপাণ্ডে। সঠিক স্বাস্থ্য বিমা বেছে নিতে কী কী মনে রাখা উচিত, ব্যাখ্যা করেছেন তাও।
advertisement
আরও পড়ুন-ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার অনেকটা বাড়াল ফিনকেয়ার স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক, উপকৃত গ্রাহকরা
শ্রীরাজ দেশপাণ্ডের মতে, প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্য বিমা করানো অপরিহার্য। যে হারে চিকিৎসা খরচ বাড়ছে তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিমার পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। তাঁর মতে, পলিসিধারকের স্বাস্থ্যের কতটা ঝুঁকি রয়েছে, বিমা নেওয়ার আগে তার সঠিক মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি বিমার প্রিমিয়াম কত হবে সেটাও দেখে নিতে হবে।
মানুষ স্বাস্থ্য বিমা কেন করায়? দেশপাণ্ডের মতে, স্বাস্থ্য বিমা নেওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, আপদকালীন সময়ে টাকার অভাবে যাতে চিকিৎসা আটকে না যায়। বিমা কোম্পানির হাসপাতালের নেটওয়ার্ক যত বড় হবে, উন্নতমানের নগদবিহীন চিকিৎসা পাওয়াও তত সহজ হবে। একটি স্বাস্থ্য বিমায় কিছু রোগের তালিকা, কত সময়ের জন্য বিমা নেওয়া হচ্ছে এবং শর্তাবলী থাকে। সেই অনুযায়ী বিমার মূল্য নির্ধারণ হয়। দেশপাণ্ডের মতে, কম সময়ের বিমার তুলনায় বেশি সময়ের মেয়াদের বিমা তুলনামূলকভাবে সস্তা হয়।
আরও পড়ুন-ঝুঁকি প্রায় নেই, রয়েছে উচ্চ হারে রিটার্নের মওকা, এই স্টকে বিনিয়োগের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
কোনও নামি কোম্পানির থেকেই বিমা কেনার পরামর্শ দিয়েছেন দেশপাণ্ডে। এর পাশাপাশি সেই কোম্পানির টার্নআউট টাইম এবং বিমা দাবির অনুপাত জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর মানে হল সেই কোম্পানির কাছে কতজন বিমার দাবি করেছেন এবং কত দ্রুত কোম্পানি সেই দাবি পরিশোধ করেছে।
