ডিজিটাল কারেন্সির সুবিধা কোথায়, সেটা বোঝাতে গিয়ে শেট্টি তুলে ধরেছেন Bitcoin-এর কথা। বলছেন যে কয়েক সেন্ট থেকে ৩৭,৬০০ ডলারে এর মূল্য পৌঁছে যাওয়া অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়। কেন না, ডিজিটাল কারেন্সি সব চেয়ে সুলভ সম্পদ, ব্যবহারে মোবাইল আর ইন্টারনেট হলেই চলে! পাশাপাশি, কোনও ভৌগোলিক সীমা না থাকায়, কোনও ব্যক্তি বা দেশ দ্বারা পরিচালিত না হওয়ায় এটা সরাসরি জনতাকে সুবিধা দেয়।
advertisement
এই প্রসঙ্গে শেট্টি জানিয়েছেন যে ইন্টারনেট ইউজারদের মাত্র ৩ শতাংশের দৌলতে Bitcoin-এর মূল্য আজ এতটা বেড়ে গিয়েছে। অতএব, যদি সংখ্যাটা বাড়ে, তাহলে ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে ইতিবাচকতার তাঁর মতে যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
অবশ্য, শুধুই বৃদ্ধি নয়, একই সঙ্গে Bitcoin-এর দাম পড়তেও দেখা গিয়েছে অতীতে। শেট্টি বলছেন যে ডিজিটাল কারেন্সির আর্থিক বৃদ্ধি মূলত চারটি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে- ইউজারের সংখ্যা, প্রোজেক্টের সংখ্যা, মূলধন বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগকারীর ইতিাচক মনোভাব। এই সবক'টি বিষয়ই উত্তরোত্র বাড়ছে বলে দাবি রেছেন তিনি।
নন-ফানজিবল টোকেনের ব্যাপ্তি নিয়ে এই কারণেই আশাবাদী শেট্টি। তিনি জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে না হলেও এক সময়ে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে এটি থাকবে, পরিস্থিতি সেই দিকেই যাচ্ছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই আলোচনায় CBDC বা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সির কথা উঠে এসেছে। শেট্টি ডিজিটাল কারেন্সির এই কেন্দ্রীকরণকে সমর্থন করেছেন। বলেছেন যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) এই প্রকল্প নিয়ে অবশ্যই এগোনো উচিত। কেন না, বিষয়টিতে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকলে তা ব্যবহারে জনতার মনোবল বাড়বে।
এই দিক থেকে বিচার করে ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে সরকারি নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটিকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন যে বিধিনিষেধ থাকলেই মানুষের আস্থা বাড়বে এবং পরবর্তীতে ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত হবে।
মিনিস্ট্রি অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স (Ministry of Corporate Affairs) যে দেশীয় সংস্থাগুলিকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ এবং তা থেকে লাভের অঙ্ক প্রকাশ করতে বলেছে, এটাকেও ইতিবাচক দিক হিসেবেই দেখছেন শেট্টি। জানিয়েছেন যে এই পরিসংখ্যান পেশ করা হলে জনতা ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার নিয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাবে।
দেশের ব্যাঙ্কগুলোর নীতিরও এই প্রসঙ্গে সমালোচনা করে শেট্টি বলেছেন যে অধিকাংশেরই বাণিজ্যনীতি নড়বড়ে, এক্ষেত্রে ঋণের তাৎক্ষণিক দাবি মেটাতে এবং মুহূর্তের মধ্যে টাকা তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল কারেন্সি সহায়ক হবে।
একই ভাবে স্টার্ট আপ ব্যবসার ক্ষেত্রেও তা লাভজন হবে বলে অভিমত শেট্টির! বলছেন যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলো ডিল মঞ্জুর করতে এবং তার পরে টাকা পাঠাতে অনেকটা সময় নিয়ে নেয়। কিন্তু ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার করা হলে এই দীর্ঘসূত্রতার সমাধান নিমেষে হবে।