করোনা মহামারীর আগে বিদেশ থেকে ভারতে যে পরিমাণ টাকা আসত তার ১৯ শতাংশ আসত কেরলে। ২০২১ সালে, বিদেশ থেকে ভারতে এসেছে ৮৭ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ২০২০ সালে এসেছিল ৮৩ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে সরকারকে না জানিয়ে প্রবাসী ভারতীয়রা ভারতে বসবাসরত আত্মীয়দের ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাঠাতে পারবে, এমনই অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে বিদেশ থেকে ভারতে আসা অর্থ আরও বাড়বে এবং সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে কেরল।
advertisement
বাড়ছে কেরলের রেমিট্যান্স
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ডলারের অনুপাতে ভারতীয় মুদ্রার ঐতিহাসিক স্তরে পতন হওয়ার পরও কেরলের রেমিট্যান্স অর্থাৎ বিদেশ থেকে আসা অর্থ ফের বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আগামী মাসে এটি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। লুলু ফিনান্সিয়াল হোল্ডিংসের একজন সিনিয়র একজিকিউটিভ বলেছেন, খাঁড়ি দেশগুলিতে ছুটির মরসুম হওয়ায় এবং ভারতীয় মুদ্রা দুর্বল থাকার কারণে কেরলে বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশি রেমিট্যান্স। ১২ জুলাই, ডলারের অনুপাতে ভারতীয় মুদ্রা ৭৯.৬০-তে বন্ধ হয়েছে।
কেরলের ব্যাঙ্কগুলির এনআরআই অ্যাকাউন্টগুলিতে অর্থ জমা কম করা হচ্ছে। এর একটি কারণ হল মানুষ বিদেশ থেকে আসা টাকা ব্যাঙ্কে রাখার বদলে খরচ করতে বেশি পছন্দ করছেন। এছাড়া কম সুদের হারও এর একটি বড় কারণ। সুদের হার বৃদ্ধি পেলে এই প্রবণতা উল্টে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।