রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া-র বক্তব্য, রিটেল স্টোরের সংজ্ঞাতেই সমস্যা হচ্ছে৷ যেমন গুজরাত, পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রেদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু ও অসমে বড় স্ট্যান্ড অ্যালোন (একক) দোকানকে মল হিসেবে দেখা হয়৷ আবার কর্ণাটক, কেরল ও তামিলনাড়ুতে স্টোরগুলিতে বলা হয়েছে, এসি চালানো যাবে না৷ লকডাউনের জেরে অনাবশ্যক খুচরো দ্রব্য বিক্রি মার্চে ৫০ শতাংশ পড়ে গিয়েছে৷ মে মাসে তা আরও কমে ৮০ শতাংশ হয়েছে৷ আবশ্যিক খুচরো দ্রব্যের বিক্রি এপ্রিলে পড়েছে ৪০ শতাংশ৷ মে মাসে আরও ৩০ শতাংশ পতন৷ এই পঙ্গুত্ব অবস্থায় শুধু দেশের রিটেল ব্যবসাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তার সঙ্গে যুক্ত নানা ম্যানুফ্যাকচারিং ও অন্যান্য ক্ষেত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
advertisement
সংগঠনের দাবি, দেশের সর্বত্র রি-ওপেনিং প্রক্রিয়ায় একটি ইউনিফর্ম স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরি হোক৷ বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন নিয়ম না হয়ে৷ দোকান খোলার অনুমতি, খোলার সময়, কতক্ষণ দোকান খোলা থাকবে, কতজন কর্মী, জিনিসের দাম, দোকানে একসঙ্গে কতজন ক্রেতা থাকবে-- সব ক্ষেত্রেই গোটা দেশে একই নিয়ম হোক৷
রিটেলারস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া-র CEO কুমার রাজাগোপালনের কথায়, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের লকডাউন ১ নিয়মকে স্বাগত জানাচ্ছি আমরা৷ মল ও সব খুচরো দোকান খুলবে, এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত৷ দেশের ৪ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ রিটেল সেক্টরে কাজ করেন৷ করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের জেরে প্রচুর মানুষ এই সেক্টরে চাকরি হারিয়েছেন৷ আমরা চাইছি, দোকান খোলা ও ব্যবসা করার ক্ষেত্রে রিটেল সেক্টরের নীতি গোটা দেশে এক হোক৷'