আসলে স্বাধীনতার ৭৫-তম বর্ষপূর্তিতে রেল দফতর আগামী ২৫ বছরের জন্য কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই মিশন-২০৪৭ সম্পূর্ণ করতে রেল দফতর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিসে এক বিশেষ ধরনের দেওয়াল ঘড়ি বসাতে চলেছে। ভারতীয় রেলের এই ঘড়ির নিচে এবং উপরে যেখানে কোম্পানির নাম লেখা থাকবে, সেখানে নামের জায়গায় শুধু ‘২০৪৭’ লেখা থাকবে। কর্মীদের মনে যাতে মিশন ২০৪৭-এর বিষয়টা একেবারে গেঁথে যায়, সেই ব্যবস্থা করাই হল এর উদ্দেশ্য।
advertisement
সম্পূর্ণ দেশ জুড়ে চালানো হবে বিশেষ ট্রেন:
মিশন ২০৪৭-এর প্রথম পর্যায়ে ভারতীয় রেল প্রথম লাইনের মানচিত্র পরিবর্তনের দিকে নজর দেওয়া হবে। রেলের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হল সম্পূর্ণ দেশ জুড়ে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ বর্তমানে যে এলএইচবি কোচ ট্রেনগুলি চলে, তা সম্পূর্ণ রূপে সরিয়ে দিয়ে সারা দেশে শুধুমাত্র ‘বন্দে ভারত’-এর মতো ট্রেন চালানো হবে। এর ফলে যাত্রীরা আরও ভালো সুবিধা-স্বাচ্ছন্দ্য এবং পরিষেবা পাবেন। সেই সঙ্গে ভারতীয় রেলের মানচিত্রেও পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।
ট্রেনের গতি বৃদ্ধি:
ভারতীয় রেলের দ্বিতীয় লক্ষ্য হবে ট্রেনের গতি বৃদ্ধি করা। ভারতীয় রেল দেশের বেশির ভাগ রুটে প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালাবে। আর এটি দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-কলকাতা রুট থেকে শুরু হবে। বর্তমানে এর প্রস্তুতি পুরোদমে চালানো হচ্ছে এবং আগামী ২৫ বছরের মধ্যে অধিকাংশ রুটকে এর আওতায় আনা হবে।
রেল দুর্ঘটনা আটকানোর পরিকল্পনা:
ভারতীয় রেলের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে রেল দুর্ঘটনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আনা। আর এর জন্য প্রতিটি ব্যস্ত রুটে 'কবচ' নামে একটি কৌশল ব্যবহার করবে রেল দফতর। ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঠেকাতে এই প্রযুক্তি সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'সবে দুটো উইকেট পড়েছে', অনুব্রতর পর বড় আশঙ্কা উসকে দিলেন দিলীপ ঘোষ! নিশানায় কে?
৪০০টি স্টেশনের উন্নয়ন করা হবে:
রেল বিভাগ সারা দেশে মোট ৪০০টি স্টেশন পুনর্নির্মাণ করবে এবং এর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গয়েছে। মিশন ২০৪৭-এর অধীনে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ করা হবে।
শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য:
প্রযুক্তি এবং আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে তো উন্নত হবেই, তার সঙ্গে পরিবেশের কথা মাথায় রেখেও কাজ করবে ভারতীয় রেল। আগামী ২৫ বছরে তাই ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কে কার্বন নিঃসরণ যাতে শূন্যে নামিয়ে আনা যায়, সে-দিকটাও দেখা হচ্ছে।