মুকেশ আম্বানি যখন শিল্প বিপ্লবের কথা বলছেন, তখন বুঝতে হবে কোনও যুগান্তকারী পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতবাসী৷ শিল্প বিপ্লব ও বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হওয়ার এই প্রক্রিয়ায় RIL চেয়ারম্যান ভরসা রাখছেন দেশের লক্ষ লক্ষ টেক-স্যাভি যুব সম্প্রদায়ের উপরেই৷
আরও ভিডিও: জিও ফোন ২-এ মিলবে অত্যাধুনিক এই ফিচারগুলি
advertisement
তাঁর কথায়, 'ডিজিটাল ভারত গড়ার পথে মাত্র ২৪ মাসেই বিশ্বে ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড টেকনোলজি অ্যাডপশনে ১৫৫ তম স্থানে চলে এসেছে ভারত৷ অসাধারণ অগ্রগতি৷' ১৯৯০-এর দশকে যখন রিলায়েন্স তেল পরিশোধনাগার ও পেট্রোকেমিক্যাল প্রকল্প গড়ছে, তখন ভারতের জিডিপি ছিল প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ সবে আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়েছে৷ সেই দিনগুলির কথা স্মরণ করে মুকেশ আম্বানি বলেন, 'বিশ্বের খুব কম দেশই ভেবেছিল, আমাদের দেশের ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল৷ বর্তমানে আমাদের জিডিপি ৩ ট্রিলিয়ান মার্কিন ডলার৷ বিশ্বের প্রথম ৩ ধনী দেশ হওয়ার পথে ভারত৷'
সবচেয়ে ধনী ভারতীয় মুকেশ আম্বানির বক্তব্য, মোবাইল ডেটা সহজলভ্য হওয়ার জেরে যুব ভারত তাদের নিত্যনতুন চিন্তাভাবনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য একটি বিশাল উর্বর জমি পেয়েছে৷ তাঁর কথায়, 'আমি নিশ্চিত ভাবে বলছি, আগামী দু দশকের মধ্যে বিশ্বকে লিড করবে ভারত এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে পরবর্তী ঢেউ আনতে চলেছে ভারতই৷ এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব দায়িত্ব আমাদের উপর৷ আমি বলছি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে শুধু অংশই নেবে না ভারত, বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে৷'
আম্বানি বলেন, 'ভারতের লক্ষ লক্ষ টেক-স্যাভি যুবসম্প্রদায়ই দেশের শক্তি৷ ভাবুন তো, কয়েকশো কোটি এই ক্ষুরধার মস্তিষ্ক এক হলে, কী ঘটতে পারে! স্টার্ট-আপের জন্য বিশাল ও উর্বর জমি ভারত৷'
ডিজিটাল ভারত গড়ার লক্ষ্যে স্কুলস্তর থেকে ছেলেমেয়েদের ডিজিটালি স্যাভি করে তুলতে হবে বলেও মনে করছেন মুকেশ আম্বানি৷ তিনি বলেন, 'জিও-র সৌজন্যে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডে ভারত ১৩৪ নম্বরে৷ আমাদের লক্ষ্য ওই র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম তিনে নিয়ে যাওয়া৷'
আরও ভিডিও: জিও ধামাকা! আবার কী অফার ঘোষণা করলেন মুকেশ আম্বানি