আরও পড়ুন: Driving License: অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কী ভাবে আবেদন করবেন জানা নেই? জেনে নিন ধাপে ধাপে!
২০২১-এর ডিসেম্বরে টাটা মোটরসের বিক্রি ৫০ শতাংশ বেড়েছে। গত মাসে তারা ৩৫,২৯৯ ইউনিটস গাড়ি বিক্রি করেছে। সেখানে হুন্ডাইয়ের বিক্রির পরিমাণ ৩২,৩১২ ইউনিট। ভারতীয় বাজারে টাটা মোটরসের প্রধানত বিক্রি হয়েছে এসইউভি নেক্সন। উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে টাটা মোটরসের ২৩,৫৪৫ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: মেয়াদের মধ্যে ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করতে পারেননি? কর জমা দিন এই উপায়ে!
টাটা মোটর্স ২০২১ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৯৯,০০২ ইউনিট গাড়ি বিক্রি করেছে। যা এক দশকে তাদের এখনও পর্যন্ত এক ত্রৈমাসিকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি। অন্য দিকে শুধু ডিসেম্বরেই হুন্ডাইয়ের গাড়ি বিক্রি কমেছে ৩২ শতাংশ। মাসিক বিক্রিতেও প্রায় ১৩ শতাংশ পতন হয়েছে তাদের।
টাটা মোটরসের পার্সোনাল ভেহিক্যাল বিজনেস ইউনিটের সভাপতি শৈলেন্দ্র চন্দ্রা বলেন, ‘বর্তমান সময়ে জারি সেমিকন্ডাক্টরের সঙ্কটের কারণে তৈরি হওয়া উৎপাদন সমস্যা সত্ত্বেও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তারা বেশ কিছু নতুন কৃতিত্ব হাসিল করেছে’। তিনি জানিয়েছেন, গত বছর ভারতীয় বাজারে ৩.৩ লক্ষ গাড়ি বিক্রি করেছে টাটা মোটরস। তার মধ্যে জানুয়ারি থেকে মার্চ অর্থাৎ প্রথম ত্রৈমাসিকেই বিক্রি হয়েছে ৮৩,৮৬৯ গাড়ি। এপ্রিল থেকে জুনের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৬৪,৩৮৭টি গাড়ি বিক্রি করেছে টাটা মোটরস।
বছরের মাঝখানেও বিক্রিতে ভাঁটা পড়েনি টাটা মোটরসের। শৈলেন্দ্র চন্দ্রার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে তারা ৮৩,৯৩০টি গাড়ি এবং বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে ৯৯,০০৫ টি গাড়ি বিক্রি করেছে টাটা মোটরস।
আরও পড়ুন: ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক নিয়ে এল ‘গ্রিন ফিক্সড ডিপোজিট’, মিলবে ৬ শতাংশ হারে সুদ!
টাটার ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারও চাঙ্গা। নিক্সনের বিক্রি ব্যাপক বেড়েছে। গত বছরই কোম্পানি বাজারে এনেছিল টিয়াগো ইভি। ২০২১ এর ডিসেম্বরে তা বিক্রি হয়েছে ২,২১৫টি ইউনিট। ২০২১ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তারা মোট ৫,৫৯২ ইউনিট ইলেকট্রিক বাহন বিক্রি করেছে। যা ২০২০ অর্থবর্ষে ১,২৫৬ ইউনিট বিক্রির তুলনায় ৩৪৫ শতাংশ বেশি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রথম ভারতে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি ৩০ লক্ষ পার করেছিল। মোট বিক্রির সংখ্যা ছিল ৩২.৩ লক্ষ ইউনিট। ২০১৮-তে সেটা আবার বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩.৯৫ লক্ষ ইউনিটে৷ কিন্তু ২০১৯-এ সেটা কমে হয় ২৯.৬২ লক্ষ ইউনিট। ২০২১-এর এই ঘুরে দাঁড়ানো দেশের গাড়ি শিল্পে নতুন গতির সঞ্চার করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।