ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আইএমএফ। তাদের রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে সেই আশঙ্কা। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের রিপোর্ট জানাল, যতটা মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় অর্থনীতি তার থেকেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। আইএমএফ মনে করছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে দাঁড়াবে। অগাস্টে জানায় আইএমএফ দেশে বৃদ্ধি ৫.৮ শতাংশ হতে চলেছে। সেই পূর্বাভাস ছেঁটেই আইএমএফের নতুন পূর্বাভাস
advertisement
আর কোনও উন্নয়নশীল দেশেই বৃদ্ধির পূর্বাভাস এতটা কমানো হয়নি।
কেন এই অবস্থা? একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ আইএমএফের। শহর ও গ্রামে মানুষের কম কেনাকাটা করায় উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা থাকায় কম খরচ করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল সংস্থাগুলো ঋণ দেওয়া কমিয়েছে । বেশিরভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অনুৎপাদক সম্পদের ফাঁসে হাসফাস। ছোট ও মাঝারি অনেক শিল্প ইউনিটে কাজ বন্ধ ।
দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার তলানিতে কেন? কেন্দ্র দাবি করছে, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আর্থিক মন্দা স্পষ্ট। তারই প্রভাব পড়ছে ভারতে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারিং ফান্ড বা আইএমএফ জানাল, ঘটনা ঠিক উলটো। ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি কমছে বলেই আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় বৃদ্ধির কম।
আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথের দাবি, ২০২০-২১ সালে ভারতে বৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৫.৮ শতাংশ। ২০২১-২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৬.১ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সেক্ষেত্রে ২০২৪ সালে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে ওঠা অলীক স্বপ্নই থেকে যাবে।