অনলাইন পেমেন্ট বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে মানুষ যাতে প্রতারিত না হন, তার জন্য বারবার সাধারণ মানুষকে সাবধান করা হয়। ব্যাঙ্ক এবং প্রশাসনের তরফ থেকে চালানো হয় সচেতনতা। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নির্দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট সুরক্ষিত করতে ব্যাঙ্কগুলি নানাবিধ পদক্ষেপ করে। কিন্তু কথায় আছে না, ‘চোরের চৌষট্টি বুদ্ধি’! তাই সেখান থেকে প্রতারণার ফাঁদ খুঁজে পেলে প্রতারকরা। তবে আর একটু সাবধান হলে প্রতারকদের কাজ অনেক বেশি কঠিন হয়ে উঠবে।
advertisement
সম্প্রতি, দুর্গাপুরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কলকাতা শাখার আধিকারিকরা। দুর্গাপুরে একটি আলোচনা সভায় তাঁরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক এবং দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্সের সদস্যরা। সেখানে ডিজিটাল পেমেন্টের সুরক্ষা এবং প্রতারকদের থেকে সুরক্ষিত থাকা নিয়ে বিস্তার আলোচনা হয়েছে।
এই আলোচনায় উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি প্রসঙ্গ। তাঁরা বলছেন, আমরা অনলাইন লেনদেনে অভ্যস্ত হলেও খুব বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায় না আইএফএসসি কোডের ক্ষেত্রে। কিন্তু এই ছোট্ট কোড আপনার লেনদেন সুরক্ষিত কিনা তা বলে দিতে পারে। ফলে অচেনা কারওর সঙ্গে অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ে লেনদেন করতে হলে অবশ্যই নজর দিতে হবে আইএফএসসি কোডের দিকে। কারোর পার্সোনাল নম্বরে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে বিরত থাকতে হবে।
পাশাপাশি ইউপিআই করার ক্ষেত্রেও সেখানে যাচাই করে নেওয়া আবশ্যক। তাছাড়াও অচেনা কোন লিংকে ক্লিক করা, পুরস্কারের ফাঁদে পা দেওয়া অথবা কাউকে ব্যাঙ্কে গুরুত্বপূর্ণ নথি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনটাই উপদেশ দিয়েছেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা। তাহলে নিজেদের টাকা পয়সা সুরক্ষিত রাখা যাবে। গ্রাহকরা সাবধান হলে প্রতারকদের কাজ কঠিন হবে। তাহলেই আরও সুরক্ষিত হয়ে উঠবে ডিজিটাল পেমেন্ট।
নয়ন ঘোষ