এক নজরে জেনে নেওয়া যাক পাঁচটি সেরা ব্যবসার বিষয়ে যা একটু বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এগিয়ে গেলে খুব সহজেই করা সম্ভব!
আরও পড়ুন: LIC-র প্রিমিয়াম দিতে ভুলে গিয়েছেন? দেখে নিন কী হতে পারে!
ডে কেয়ার:
আজকাল বেশির ভাগ বাবা-মা তাঁদের কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সারাদিন। ফলে বেশির ভাগ সময়টাই শিশুটিকে থাকতে হয় বাড়িতে বন্দি হয়ে। এই পরিস্থিতিতে নিজের বাড়িতে খানিকটা জায়গা থাকলে তৈরি করে ফেলা যায় একটি ডে কেয়ার সেন্টার। যেখানে অন্তত দু’তিনটি শিশুকে কিছুটা সময় রাখা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন নিজের রোজগার হয়, অন্য দিকে তেমনই শিশুগুলিও পায় খানিকটা অবসর। স্কুলের পর বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে পারে। সেই সঙ্গে যদি নাচ, গান বা আঁকার মতো কিছু কাজ করানো যায় তবে বাবা-মা নিশ্চিন্ত থাকতেও পারেন। অবসর সময়টুকু শিশু মোবাইল গেমে মত্ত না থেকে কিছু সৃজনশীল কাজ করতে পারে।
advertisement
গল্প পড়ে শোনানো:
আজকাল সকলেই পডকাস্টের দিকে ঝুঁকছেন। নানা ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় গল্প পাঠ করেন অনেকে। কিন্তু এই গল্প পাঠ করাটাকেই পেশা হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। বহু বৃদ্ধ মানুষ একাকিত্বে ভোগেন। তাঁদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো যেতে পারে, নির্দিষ্ট বেতনের বিনিময়ে। ফোনেও কথা বলা যায় দিনের কোনও একটা সময়। সঙ্গে একটা গল্পের বই থাকলে দু’জনেরই দারুন সময় কাটবে। পড়ে শোনানো যেতে পারে খবরের কাগজও। কারণ বয়স বাড়লে অনেকেই নানা কারণে ছাপার অক্ষর দেখতে পারেন না অনেক সময়।
আরও পড়ুন: তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার চাকরি ছেড়ে শুরু করেন পোহা বিক্রি! মাসে আয় ৬০ লক্ষ টাকা
এ এমন এক ব্যবসা যাতে লোকসানের সম্ভাবনা বেশ কম, যদি রান্নার হাত বেশ পাকা হয় তবে তো কথাই নেই। এমনিতেই মানুষের হাতে সময় কমে আসছে। ফাস্ট ফুডের দাপটে বাড়ছে রোগের দাপট। অনেকেই চান তেল মশলা ছাড়া সুস্বাদু খাবার পেতে। নিত্যখাবারের ব্যবসা তাই খুবই ভাল চলতে পারে।
অন্যের হয়ে কেনাকাটা:
নিজে কেনাকাটা করতে ভালবাসেন যাঁরা, তাঁরা এই ব্যবসার কথা ভাবতেই পারেন। অনেক সময়ই কাজের চাপে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সময় করে উঠতে পারেন না অনেকে। বিশেষত কর্মরত মহিলারা। তাঁদের হয়ে কেনাকাটার কাজ করে দেওয়া যেতে পারে। তবে এজন্য নিজের রুচি, পছন্দ, বাজারদর ইত্যাদি বিষয়ে আস্থা অর্জন করতে হবে গ্রাহকের।
পোষ্যের যত্ন:
যাঁরা পোষ্যদের ভালবাসেন, তাঁরা এই পোষ্যদের জন্যও তৈরি করতে পারেন কেয়ার সেন্টার। অনেকেই কোথাও বেড়াতে গেলে কয়েকদিন পোষ্যকে কোথায় রাখবেন তা নিয়ে ভাবতে বসেন। সেই আশ্রয়টুকু দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া, পোষ্যদের গ্রুম করার জন্য ট্রেনিংও দেওয়া যেতে পারে।