এই ফান্ড পরিচালনা করবেন আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়াল মিউচুয়াল ফান্ডের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার এস নরেন এবং কো-ফান্ড ম্যানেজার আনন্দ শর্মা। বেঞ্চমার্ক হবে নিফটি হাউজিং ইনডেক্স। যা সম্প্রতি এনএসই দ্বারা চালু করা হয়েছে।
advertisement
এই মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে আবাসন সেক্টরের সব খাতে বিনিয়োগ করা যাবে। আবাসন বাজারের লাভ থেকে সরাসরি উপকৃত রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলির স্টকে যেমন বিনিয়োগ করা যাবে তেমনই এই খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানিগুলিতেও বিনিয়োগের সুবিধা মিলবে। এর অর্থ এই ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারী আবাসন সেক্টরের সমস্ত বিভাগে বিনিয়োগ করতে পারবেন। অর্থাৎ এটা কোনও সেক্টরাল ফান্ড হবে না।
আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়াল মিউচুয়াল ফান্ডের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার এস নরেন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই ফান্ডে বিনিয়োগ করলে পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র আসবে। কারণ এর মাধ্যমে আবাসন খাতের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন কোম্পানিতেও বিনিয়োগ করা যাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় এই ফান্ডের মাধ্যমে নির্মাণ, আর্থিক পরিষেবা সংস্থা, গৃহঋণ সংস্থা, ভোগ্যপণ্য, সিমেন্ট, বিদ্যুৎ, ধাতব সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগের সুবিধা পাওয়া যাবে’।
আরও পড়ুন: আরও বিপুল সস্তা হল সোনা, দেখে নিন আজকে ১০ গ্রামের লেটেস্ট রেট
তবে এই মিউচুয়াল ফান্ড আনার সময় নিয়ে কিছুটা বিস্মিত বাজার বিশেষজ্ঞরা। কারণ কোভিডের পর থেকেই ব্যাপক মার খাচ্ছে রিয়েল এস্টেটের বাজার। বেশ কিছু বড় প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে অ্যাফ্লুয়েন্স ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাইনি সেবাস্টিয়ান বলছেন, ‘থিম ভিত্তিক মিউচুয়াল ফান্ড চালু করার জন্য সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেখে মনে হচ্ছে আইসিআইসিআই মিউচুয়াল ফান্ড একটি আবাসন তহবিল নিয়ে আসছে। কিন্তু রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের জন্য এই সময়টা অনুকূল নয়’। একই কথা বলেছেন প্রোবিটাস ওয়েলথের প্রতিষ্ঠাতা কবিতা মেনন। তাঁর বক্তব্য, ‘ভুল সময়ে বিনিয়োগ করলে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে’।
অবশ্য স্যাঙ্কটাম ওয়েলথের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার রূপালি প্রভুর মত কিছুটা ভিন্ন। তিনি বলছেন, ‘থিমযুক্ত তহবিলগুলি বেশি দিন বাজারে থাকে না। এর সময়কাল খুব বেশি হলে তিন থেকে চার বছর। তাই এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের উচিত সময়ে সময়ে তাদের পোর্টফোলিও পর্যালোচনা করা’। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে হাউজিং সেক্টরে মিউচুয়াল ফান্ড এনেছিল এইচডিএফসি। তাতে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৪.৫ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
