উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগ সবসময়ই কৃষকদের জন্য নতুন চাষের পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে থাকে। এছাড়াও কিভাবে কৃষকরা কম সময়ে কি চাষ করে আয় করতে পারবে সে বিষয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে থাকে এই বিভাগ। সেই ভাবনা থেকেই এবার মাকাডামিয়া বাদাম চাষে উদ্যোগী হল তাঁরা। কার্শিয়াংএর চিমনি গ্রামের উপরে ১০০ টি চারা রোপণ করা হয়েছে। কারণ ওই এলাকায় সবসময়ই তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচে থাকে। আর এই তাপমাত্রায় এই বাদাম গাছ ফলদায়ক। কোফামের কর্তাদের কথায়, এই বাদাম চাষ যদি একবার এখানে সাফল্য পায় তাহলে পাহাড়ের চাষীদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না।
advertisement
কোফামের বিভাগীয় ইনচার্জ অমরেন্দ্র পান্ডে বলেন, ‘ আমরা সব সময়ই কৃষকদের জন্য নানান রকম কাজ করে থাকি। এবার দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় কি করে মানুষেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে, সেই কথা ভেবেই ম্যাকাডেমিয়া বাদাম চাষ করছি।’
তাঁর কথায়, এক কেজি বাদামের দাম প্রায় তিন হাজার টাকা। এই বাদাম চাষে যদি পাহাড় সাফল্য পায়। তাহলে আর পাহাড়ের যুবকদের শহরে কাজ করতে যেতে হবে না। তারা নিজেরাই এই বাদাম চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে। এই বাদাম গাছ ফল দিতে প্রায় চার বছর সময় লাগে । তবে একবার ফলন দেওয়া শুরু করে দিলে তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। অত্যন্ত লাভ দায়ক এই বাদাম চাষ।
অনির্বাণ রায়