কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ব্যাঙ্ককে কোনও নোটিস ছাড়াই বড় অঙ্কের টানা লেনদেন করা যায়। ব্যাঙ্কের দেওয়া চেকের মাধ্যমে পাওনাদারদের টাকা মেটানোর সুবিধাও রয়েছে। তবে কারেন্ট অ্যাকাউন্টে কোনও সুদ দেওয়া হয় না। ন্যূনতম ব্যালেন্সও সেভিংস অ্যাকাউন্টের তুলনায় বেশি রাখতে হয়।
আরও পড়ুন:মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় খবর, এই নিয়ম পরিবর্তন হতে পারে!
advertisement
যেহেতু ব্যবসায়িক লেনদেনে ব্যবহৃত হয় তাই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে একদিনে কত টাকা তোলা যায় তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েকটি শর্তেই মোটা টাকা তোলা যায়। এখানে দেখে নেওয়া যাক কারেন্ট অ্যাকাউন্টের সুবিধা এবং কোন শর্তে লেনদেন করা যায়।
কারেন্ট অ্যাকাউন্টের সুবিধা: তাৎক্ষণিক ব্যবসায়িক লেনদেনের অনুমতি দেয়, কোনও প্রত্যাহারের সীমা নেই, হোম শাখায় আমানতের উর্ধবসীমা নেই, ব্যবসায়ীরা চেক, ডিমান্ড ড্রাফ্ট বা পে অর্ডার ব্যবহার করে সরাসরি অর্থপ্রদান করতে সক্ষম, ওভারড্রাফ্ট সুবিধা পাওয়া যায়, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং এবং মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা মেলে।
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে ভারতে চালু হচ্ছে ডিজিটাল মুদ্রা, এই বিষয়গুলো আগেভাগেই জেনে নিন
কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার শর্ত: কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে একদিনে কত টাকা তোলা যাবে সেটা নির্ভর করে কোন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেই অ্যাকাউন্টের ধরনের উপরে।
স্ট্যান্ডার্ড কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, বেসিক কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, প্রিমিয়াম কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, প্যাকেজড কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এবং বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বিভিন্ন ধরনের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট পরিষেবা অফার করে। ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের মতো করে নিয়মও ঠিক করে। তাই টাকা তোলার সীমাও সেই ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ নিয়ম অনুযায়ী ঠিক হয়।
যেমন অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের সাধারণ কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রাহকরা একদিনে ১ লক্ষ টাকা তুলতে পারেন। এর কোনও চার্জ দিতে হয় না। এই পরিমাণ লেনদেনের পরেও যদি অ্যাকাউন্টে টাকা থাকে, তবে সেটাও তোলা যাবে। কিন্তু তার উপর ব্যাঙ্কের নির্ধারিত ফি দিতে হবে। যাকে বলা হয় 'ক্যাশ হ্যান্ডলিং চার্জ'। ক্যাশ হ্যান্ডলিং চার্জ বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বিভিন্ন রকম।