যদি কোনও সম্পত্তি ক্রয় করার ২ বছরের মধ্যে বিক্রি করা হয় এবং মূলধনের ওপর লাভ হয় তখন তাকে ‘শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল গেইন (Short Term Capital Gain)’ বলা হয়। এই লাভের টাকার সম্পত্তির মালিকের মোট বার্ষিক আয়ে যুক্ত করে দেওয়া হয় এবং স্ল্যাব অনুযায়ী সরকার তার ওপর কর ধার্য করে।
আরও পড়ুন: বাড়ল না কমল ? আজ কলকাতায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কত ?
advertisement
যদি একটি সম্পতিকে কেনার ২ বছরের বেশি সময় পর বিক্রয় করে মূলধনে লাভ পাওয়া যায় তবে তাকে ‘লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন (Long Term Capital Gain)’ বলা হয়। এই ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতিকে হিসেব করে মোট লাভে ২০% কর চাপানো হয়।
আরেকটি উল্লেখ্য বিষয় হল, কোনও সম্পতি কেনার ৫ বছরের মধ্যে যদি বিক্রি করা হয় তবে মূলধন পরিশোধ, স্ট্যাম্প শুল্ক এবং আয়কর ধারা 80C-এর অধীনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য দাবি করা ট্যাক্সের ছাড় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সম্পত্তি বিক্রি করার সময় ছাড়ের টাকা কর হিসেবে ফেরত নিয়ে নেয় সরকার। শুধুমাত্র হোম লোনের সুদ প্রদানের জন্য ধারা 24B-এর অধীনে দাবি করা ছাড় ফিরিয়ে নেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন: আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্কড না থাকলে হতে পারে বড় লোকসান, জেনে নিন লিঙ্কিংয়ের পদ্ধতি.....
যদি কোনও ব্যক্তি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে সম্পত্তি ক্রয় করেন এবং আয়কর ধারা 80C-এর অধীনে থাকা সমস্ত কর ছাড়ের সুবিধা নিয়ে থাকেন, তবে সেক্ষেত্রে পুনরায় বিক্রি করার আগে সম্পত্তিকে কমপক্ষে ৫ বছর ধরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি ট্যাক্স মকুবের দাবি না করা হয়ে থাকে তবে কমপক্ষে ২ বছর পর্যন্ত সম্পত্তি ধরে রাখা উচিত।
আরও পড়ুন: সুখবর! সোনা ও রুপোর দামে পতন, দেখে নিন ১০ গ্রামের দাম
যদি কেনার ২ বছর পর সম্প্রত্তি বিক্রি করা হয় তবে লাভের ওপর ২০% সরকারি কর বসানো হয়। এই ট্যাক্স হিসেবের সময় মুদ্রাস্ফীতি ফ্যাক্টরকেও ধরা হয় যাতে সম্পত্তির মালিককে কম কর প্রদান করতে হয়। যদি বিক্রেতা লাভের টাকা দিয়ে ২ বছরের মধ্যে আরেকটি নতুন সম্পত্তি ক্রয় করেন বা ৩ বছরের মধ্যে বাড়ি তৈরি করেন তবে সেক্ষেত্রে কোনও আয়কর ধার্য করা হয় না। এছাড়া, একটি সম্পত্তি বিক্রি করার এক বছর আগে যদি অন্য একটি সম্পত্তি ক্রয় করা হয় তবে সেক্ষেত্রেও লাভের ওপর কোনও ট্যাক্স দিতে হয় না।