তবে হ্যাঁ, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। এতে প্রথমবার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার সহজ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে সহজে ক্রেডিট অ্যাক্সেসের উপরেও ভাল প্রভাব ফেলবে।
৭৫০ ভাল ক্রেডিট স্কোর:
ক্রেডিট স্কোর গুরুত্বপূর্ণ। ঋণদাতারা ঋণ দেওয়ার আগে ক্রেডিট রিপোর্ট এবং ক্রেডিট স্কোর খতিয়ে দেখেন। এটাই ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণ করে। সাধারণত ক্রেডিট স্কোর হয় ৩০০ থেকে ৯০০ পর্যন্ত। এর মধ্যে ৭৫০-এর উপর ক্রেডিট স্কোরকে ভাল স্কোর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
advertisement
মাথায় রাখতে হবে, যে হেতু ক্রেডিট লাইন বাড়ানো হচ্ছে তাই নতুন ক্রেডিট কার্ডে ক্রেডিট ব্যবহারের অনুপাত কমানোর সুযোগ থাকে। তাই পেমেন্ট হিস্ট্রি যাতে ভাল থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই দুটো জিনিসই এফআইসিও ক্রেডিট স্কোর উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রথম ক্রেডিট স্কোর তৈরি করতে সাধারণত ন্যূনতম ছয় মাস সময় লাগে। ভাল বা চমৎকার ক্রেডিট স্কোর পেতে সময় কিছুটা বেশি লাগে।
আরও পড়ুন: পিএফ অ্যাকাউন্টে নমিনি নেই! সাবধান, ঘোর সমস্যায় পড়তে চলেছে পরিবার
সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার পর ব্যাঙ্ক থেকে ক্রেডিট কার্ড চাওয়া যায়:
নয়া প্রজন্ম ক্রেডিট ফুটপ্রিন্ট ভাল রাখতে চায়। এটাই বিচক্ষণ ক্রেডিট পরিকল্পনা। এতে দীর্ঘ মেয়াদে হোম লোনের মতো বড় অঙ্কের ঋণে সুদের হারে কিছুটা সুবিধে হয়। ক্রেডিট কার্ডকে এ ভাবে কাজে লাগানোটা দুর্দান্ত কৌশল। কর্মজীবনের প্রথম দিকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার শুরু করা সবচেয়ে ভাল। এতে ক্রেডিট সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে। এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী ক্রেডিট স্কোরও তৈরি করা যাবে। ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ব্যাঙ্কে গিয়ে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা। স্যালারি অ্যাকাউন্ট থাকলেও ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: পুজোর মধ্যেই বড়সড় ধাক্কা আমজনতার! বাড়তে পারে সিএনজি-পিএনজির দাম!
যে ভাবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সিভিল স্কোর উন্নত করা যায়:
১। ক্রেডিট কার্ড খরচ ট্র্যাক করতে সাহায্য করে।
২। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে উপযুক্ত ক্রেডিট কার্ড বেছে নিতে হবে।
৩। সময় মতো বিল পরিশোধ করতে হবে।
৪। সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করাই উচিৎ।
৫। নিয়মিত বিল চেক করতে হবে।
৬। খরচ করার সময় সজাগ থাকতে হবে।