কিন্তু সমস্যা হল জ্বালানির খরচ। পেট্রোল-ডিজেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থায় রোড ট্রিপ করতে গেলে যে পকেট থেকে বাড়তি টাকা খসবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে সাপও মরবে কিন্তু লাঠিও ভাঙবে না, এমন উপায় আছে। পেট্রোল খরচ কমিয়ে কীভাবে লং ড্রাইভে বেরনো যায় তার উপায় বাতলে দেওয়া হল এখানে।
আরও পড়ুন: রুপোর দামে ফের পতন, আর সোনার দাম? জানলে চমকে যাবেন, দেখে নিন আজকের বাজার দর!
advertisement
রোড ট্রিপে কত খরচ হওয়া উচিত: কত দূরে যাচ্ছেন তার উপরেই এর উত্তর নির্ভর করবে। যদি একটা রাজ্যের সীমানা অতিক্রম করলে বেশি খরচ হয় না। কিন্তু একসঙ্গে পাঁচটা রাজ্য অতিক্রম করে যেতে চাইলে সঙ্গে মোটা টাকা নিয়ে বেরনো উচিত।
জ্বালানি খরচ: রোড ট্রিপে বেরোলে জ্বালানির খরচই সবচেয়ে বেশি হয়। সেটা কত? বের করার জন্য একটা সরল প্রক্রিয়া আছে। সেটা জানলে আর্থিক প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়। প্রথমে দেশে পেট্রোল ডিজেলের দাম কত করে চলছে, সেটা দেখে নিতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, ভ্যাট বা ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স আলাদা আলাদা হওয়ায় জ্বালানির দাম বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন রকম। ভ্রমণের খরচ কমাতে যেখানে জ্বালানির দাম কম সেখান থেকে পেট্রোল কেনা উচিত।
আরও পড়ুন: ট্যুইটারের সিইও পদ থেকে ইস্তফা? সোশ্যাল মিডিয়ায় এলন মাস্কের বিবৃতি ঘিরে জল্পনা!
২০১৭-র জুন থেকে 'ডাইনামিক ফুয়েল প্রাইস মেথডলজি' নামক একটি নতুন ফর্ম্যাটে পেট্রোল এবং ডিজেলের খরচ গণনা করা হয়। যা বিশ্বব্যাপী মূল্য, রুপি থেকে ডলারের বিনিময় হার, আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে বাণিজ্য কার্যকলাপের চাহিদা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়।
মাইলেজ দেখা: পরবর্তী ধাপ হল মাইলেজ দেখে রাখা। এটা খুব সাধারণ ব্যাপার। একটা গাড়ি কী পরিমাণ জ্বালানিতে কত দূরত্ব অতিক্রম করে সেটা এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। সবশেষে একটা ক্যালকুলেটর নিয়ে কয়েকটা অঙ্ক কষে নেওয়া। রাউন্ড ট্রিপ দূরত্বকে ফুয়েল এফিসিয়েন্সি দিয়ে গুণ করে জাতীয় গড় জ্বালানি মূল্য যোগ করলেই কত খরচ হতে পারে তার ধারণা পাওয়া যাবে।