আয়কর বিভাগ সাধারণত ২৫ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে রিফান্ড প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়। যদি ৬০ দিনের মধ্যে রিফান্ড না আসে তবে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আয়কর বিভাগে রিফান্ডের জন্য পুনরায় অনুরোধ করা যেতে পারে। রিফান্ড আসার আগে একবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বৈধ কি না তা যাচাই করে নেওয়া উচিত। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তবে ই-ফাইলিং পোর্টালে গিয়ে রিফান্ডের জন্য আবেদন করা যেতে পারে।
advertisement
সার্ভিস রিকোয়েস্ট করার আগে এই বিষয়টি যাচাই করে নিতে হবে-
যদি কোনও ব্যক্তি রিফান্ড রি-ইস্যুর জন্য অনুরোধ করতে চান তবে তাঁকে প্রথমে টিআইএন-এনএসডিএল ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে হবে তাঁর রিফান্ড রিজেক্টেড দেখাচ্ছে কি না। রিফান্ড ট্র্যাক করে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়। যদি রিফান্ড স্ট্যাটাস না দেখায় বা রিফান্ড রিজেক্ট করার কারণ ই-ফাইলিং ওয়েবসাইটে দেওয়া না থাকে তবে রিফান্ডের জন্য পুনরায় আবেদন করা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ই-ফাইলিং পোর্টালে গিয়ে ই-নিবারণ ট্যাবের মাধ্যমে অভিযোগ নথিভুক্ত করা যেতে পারে।
রিফান্ড রি-ইস্যুর জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে?
সবচেয়ে প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে https://www.incometaxindiaefiling.gov.in/ যেতে হবে।
‘মাই অ্যাকাউন্ট’ মেনুতে ক্লিক করে ‘সার্ভিস রিকোয়েস্ট’ লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।
‘নিউ রিকোয়েস্টের’ ধরন বেছে নিতে হবে। ‘রিফান্ড রি-ইস্যু’ হিসেবে ‘রিকোয়েস্ট ক্যাটাগরি’ নির্বাচন করে সাবমিট অপশনে ক্লিক করতে হবে।
এর পরের পেজে প্যান, রিটার্নের ধনণ, অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার, অ্যালনোলেজমেন্ট নম্বর, যোগাযোগের রেফারেন্স নম্বর এবং রিটার্ন রিজেক্ট হওয়ার কারণ দেখাবে।
আরও পড়ুন: পেরিয়ে গিয়েছে ITR দাখিলের শেষ দিন; সময়ের মধ্যে জমা না-করে থাকলে কিন্তু জুটবে ‘শাস্তি’!
এখন ‘রেসপন্স’ লেখা সারিতে ‘সাবমিট হাইপারলিংক’-এ ক্লিক করতে হবে। এখানে প্রি ভেলিডেট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির তথ্য আসবে।এই পেজে এনাবেল করা ইভিসি-ও দেখাবে।
যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রিফান্ড এলে ভাল হয় তা ক্লিক করে কান্টিনিউ করতে হবে।
সমস্ত তথ্য সঠিক হওয়ার পর ওকে ক্লিক করতে হবে। এর পর ডায়ালগ বক্সে ই-ভেরিফিকেশনের বিকল্পগুলি আসবে। ই-ভেরিফিকেশনের জন্য উপযুক্ত মোড নির্বাচন করতে হবে। রিকোয়েস্ট জমা দিতে ইলেক্ট্রনিক ভেরিফিকেশন কোড (EVC)/Aadhaar OTP জেনারেট করে যথাস্থানে প্রদান করতে হবে।
স্ক্রিনে একটি ‘সাকসেস’ মেসেজ আসবে অর্থাৎ রিফান্ড রি-ইস্যু রিকোয়েস্ট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে।