সরকারি এক আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী, বাজেট ২০২২-এ (Union Budget 2022) চাকরিজীবী এবং পেনশনভোগীদের বহাল থাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের লিমিট ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে করদাতাদের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন লিমিট ৫০ হাজার টাকা। এর আগে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের লিমিট ছিল ৪০ হাজার টাকা। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি (Arun Jaitley) ২০১৮ সালে তা প্রবর্তন করেছিলেন। এর পর পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal) অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেন। সেই সময়ে এই লিমিট বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করা হয়েছিল। এবার ফের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের লিমিট বাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- বাজেটে এই ১০ পদক্ষেপ নিতে হবে নির্মলাকে, তবেই হাসি ফুটবে আমজনতার মুখে!
পার্সোনাল ট্যাক্সেশন নিয়েও একাধিক পরামর্শ গিয়েছে সরকারের কাছে। আর এতে একটাই কমন ব্যাপার হল, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের লিমিট বাড়ানো। করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে মেডিক্যাল খরচ-সহ একাধিক বিষয়ে খরচ বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই বিষয়টি সামনে আসছে। অন্য দিকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে চাকরিজীবীদের বিদ্যুৎ খরচ, ইন্টারনেট সহ অন্যান্য খরচ বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের লিমিট বাড়ানো হলে বেশ কিছু সুবিধা মিলবে। অন্যদিকে নতুন কর স্ল্যাব তৈরি হলে করদাতাদেরও সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন- ২০১৭ সালে রেল বাজেটকে কেন কেন্দ্রীয় বাজেটে জুড়ে দেওয়া হয়? জানুন কারণ
এই প্রসঙ্গে ফিনকর্পিট কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটিডের পরিচালক ও সহ প্রতিষ্ঠাতা লোকেশ আচার্য বলছেন, ‘বর্তমান জীবনযাত্রায় ব্যয় বাড়ছে। সেই তুলনায় বেতনভোগী শ্রেণীর করছাড়ের পরিমাণ কম। করোনার জেরে চিকিৎসা খরচ বেড়েছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, আসবাবপত্রে বাড়তি খরচ হচ্ছে। তাই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের লিমিট ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার করা উচিত’।