বাড়িতে কত নগদ টাকা রাখা যাবে?
আয়কর দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, বাড়িতে যে কোনও পরিমাণ অর্থ রাখা যেতে পারে। তবে সেই টাকা যদি তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে ধরা পড়ে, তাহলে সে-ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতরকে সেই টাকার উৎস সঠিক ভাবে জানাতে হবে। যদি বৈধ ভাবে টাকা উপার্জন করা হয় এবং তার সম্পূর্ণ নথিপত্র থাকে কিংবা আয়কর রিটার্ন দাখিল করা থাকে, তা-হলে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু টাকা আয়ের উৎস সঠিক ভাবে জানাতে না-পারলে তদন্তকারী সংস্থা এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে দেবে।
advertisement
আরও পড়ুন: পেনশনভোগীদের জন্য বাম্পার খবর! NPS-এ গ্যারান্টি রিটার্ন, কেন্দ্রের বড় পরিকল্পনা
এই সংক্রান্ত কিছু জরুরি তথ্য:
বাড়িতে রাখা নগদ টাকার উৎস জানাতে ব্যর্থ হলে ১৩৭ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
একটি আর্থিক বছরে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদে লেনদেন করলে হতে পারে জরিমানা।
সিবিডিটি (CBDT) অনুযায়ী, এক বারে ৫০০০০ টাকার বেশি জমা করা বা তোলার জন্য প্যান নম্বর প্রদান করতে হবে।
যদি কোনও ব্যক্তি বছরে নগদ ২০ লক্ষ টাকা জমা করেন, তবে তাঁকে প্যান কার্ড এবং আধার কার্ডের বিবরণ জমা দিতে হবে।
প্যান কার্ড এবং আধার কার্ডের বিবরণ প্রদান করতে ব্যর্থ হলে জরিমানা হতে পারে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
নগদে ২ লক্ষ টাকার বেশি কেনাকাটা করা যাবে না।
নগদে ২ লক্ষ টাকার বেশি কেনাকাটা করার জন্য জমা দিতে হবে প্যান কার্ড এবং আধার কার্ডের কপি।
নগদে ৩০ লক্ষ টাকার বেশি সম্পদ ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য যে-কোনও ব্যক্তিকে পড়তে হতে পারে তদন্তকারী সংস্থার নজরদারির আওতায়।
ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করার সময় যদি কোনো ব্যক্তি একবারে ১ লক্ষ টাকার বেশি দেয় তাহলে তদন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: লঙ্কা চাষ করে বিপুল লাভ! ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মুনাফা, জেনে নিন উপায়
আত্মীয়দের কাছ থেকে এক দিনে ২ লক্ষ টাকার বেশি নগদ নেওয়া যাবে না। নিতে হলে তা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে নিতে হবে।
নগদ অনুদানের সীমা ২০০০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এক জন ব্যক্তি অন্য কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকার বেশি ঋণ নিতে পারবেন না।
ব্যাঙ্ক থেকে ২ কোটি টাকার বেশি নগদ তোলার উপর ধার্য করা হবে টিডিএস (TDS)।