সিবিডিসি হল নগদ টাকার একটি ডিজিটাল আকার, যা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা আইনি টেন্ডার। এটি নগদ মুদ্রার মতোই বিনিময় যোগ্য। ব্যবহারকারীর কাছে একটি মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন ওয়ালেট থাকলেই এই মুদ্রা লেনদেন করা যাবে। নগদ ১০০ টাকা ও ডিজিটাল ১০০ টাকার (Digital Rupee) মধ্যে কোনও পার্থক্য থাকছে না। দু’টির মানই সমান। শুধু একটি নগদ ও একটি ডিজিটাল। পিডব্লিউসি ইন্ডিয়ার পার্টনার অ্যান্ড পেমেন্টস ট্রান্সফরমেশন লিডার মিহির গান্ধীর মতে, ‘এটা নিশ্চিত যে ইউপিআই (UPI), আইএমপিএস-এর মতো পেমেন্ট সিস্টেমগুলির সঙ্গে একত্রে কাজ করবে ডিজিটাল মুদ্রা। যাতে নির্বিঘ্নে লেনদেন করা যায়’।
advertisement
আরও পড়ুন - এই ৫ স্টকে বিনিয়োগ করলেই টাকা আসবে ঝড়ের গতিতে! হদিশ দিলেন বিশেষজ্ঞরা!
বর্তমানে ডিজিটাল লেনদেনের সময় যে পেমেন্ট করা হয় তার প্রতিটি মূল্য কাগুজে নোট দ্বারা সমর্থিত। অর্থাৎ তাতে কাগুজে নোটের ব্যাকআপ রয়েছে। নিওব্যাঙ্ক ফাই-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা সুমিত গোয়ালানি বলছেন, ‘সিবিডিসি বাজারে এসে গেলে এই ব্যাক আপের আর দরকার হবে না’।
প্রোঅ্যাসেটজ এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক মনোজ ডালমিয়াও একই কথা বলছেন। তাঁর মতে, ‘কাগুজে নোটের থেকে ডিজিটাল রুপি (Digital Rupee) আলাদা নয়। এনইএফটি (NEFT), ইউপিআই (UPI) লেনদেনের সময় তা অনায়াসে ব্যবহার করা যাবে। ডিজিটাল মুদ্রার মূল লক্ষ্যই হল টাকার লেনদেন আরও সহজ পদ্ধতিতে করা। পাশাপাশি এর সাহায্যে প্রথাগত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে’।
আরও পড়ুন - ১০ মার্চ শুরু হতে পারে LIC-র IPO, বিনিয়োগের আগে জেনে নিন ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য!
ননসেব্লক্স ব্লকচেইন স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক বিনশু গুপ্তা বলেছেন, ‘ইউপিআই লেনদেনের সময় ক্রেতা এবং বিক্রেতার মাঝখানে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আওতাধীন কোনও ব্যাঙ্ক। কিন্তু সিবিডিসি সরাসরি আরবিআই নিয়ন্ত্রণ করবে। মাঝখানে কোনও ব্যাঙ্ক থাকবে না। ফলে এর ব্যবহার বা লেনদেন করা আরও সহজ হবে’। তবে, আরবিআই (RBI) কীভাবে ডিজিটাল রুপি বাস্তবায়ন করতে চলেছে এবং এটি কী ধরনের ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করতে চলেছে তা এখনও জানা যায়নি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ডিজিটাল রুপি অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি যেমন বিটকয়েন (Bitcoin), ইথেরিয়াম (Etherium), ইত্যাদির সঙ্গে ইন্টার-অপারেবল হবে কি না তাও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।