বাড়ি বা সম্পত্তি থেকে মোটা টাকা লাভ পেতে চাইলে কয়েকটা কাজ করতে হবে। তাহলেই দাম চড়চড়িয়ে বাড়বে। ক্রেতাও পাওয়া যাবে সহজে। এই সম্পর্কে ৬টি বিশেষ কাজের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো করলে সম্পত্তির মূল্য বাড়বে, বিক্রি করাও সহজ হবে।
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামত: বাড়ি বা সম্পত্তির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। বিক্রির আগে আগাপাশতলা মেরামত করতে হবে। অনেকেই ভাবেন, বিক্রি তো করেই দেব, এখন আর মেরামতির পিছনে একগাদা টাকা খরচ করে লাভ কী! এটা ভুল ধারণা। ভাঙাচোরা জিনিস কেউ কিনতে চায় না। তাই বিক্রি করতে চাইলে সম্পত্তির মেরামত এবং সংস্কার করতে হবে। ক্রেতারাও এটাই চান।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩০ বছর বয়সে SIP শুরু করছেন? অবসরের সময় ১০ কোটি টাকা রিটার্ন পেতে মাসে কত বিনিয়োগ করতে হবে ?
এনার্জি সেভিংয়ের উপর জোর: কোনও অ্যাপার্টমেন্টের একেবারে উপরের তলায় যদি সম্পত্তি থাকে, কিংবা প্লটেড ডেভেলপমেন্টের অংশ হয়, তাহলে ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর কথা ভাবা উচিত। বিদ্যুতের তুলনায় এটা অনেক সস্তা। সঙ্গে সরকারি স্কিমের সুবিধাও মিলবে। ক্রেতাও দেখবেন, তাঁর অনেক বিদ্যুৎ খরচ বেঁচে যাচ্ছে। তিনিও খুশি হবেন।
আধুনিক সুবিধা: সময় বদলাচ্ছে। বিলাসবহুল এবং স্মার্ট হোম ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। বাড়ি বিক্রির কথা মনস্থির করে নিলে, এতে আধুনিক সুযোগসুবিধা যোগ করতে হবে। দাম অনেক বেশি পাওয়া যাবে। কোভিড মহামারীর পর থেকে এমন সম্পত্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।
পার্কিং স্পেস: গ্রাহককে গ্যারেজ বা চারদিক ঢাকা পার্কিং প্লেস দিতেই হবে। তাছাড়া গ্যারেজ থাকলে সম্পত্তির দামও কিছুটা বেড়ে যায়। গ্রাহকও নিশ্চিন্ত হন। একইসঙ্গে এটা পেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গীরও পরিচয় দেয়।
নিরাপত্তা: আজকের বাজারে নিরাপত্তা সবার আগে। মাথায় রাখতে হবে, ক্রেতারা সবার আগে বাড়ির নিরাপত্তা দেখবে। তারপর কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আধুনিক সিকিউরিটি সিস্টেমে ইলেকট্রনিক নজরদারি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সিসিটিভির ব্যবহার তো খুব সাধারণ। এর সঙ্গে অ্যালার্ম সিস্টেম, স্মার্ট লক ইত্যাদিও ব্যবহার করা উচিত।
ন্যায্য দাম: সব ক্রেতাই ভাল সম্পত্তি চান, কিন্তু ন্যায্য দামে। তাই এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দাম ঠিক রাখলে সহজে ক্রেতাও পাওয়া যাবে। এর জন্য আশপাশের সম্পত্তির কত দাম চলছে তারও খোঁজখবর রাখা উচিত। ব্রোকার বা অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করে আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে।