রুপোলি ইলিশ দেখলেই বাঙালির জিভে জল। বর্ষা আসতে না আসতেই ভোজনরসিক বাঙালির চাহিদা তুঙ্গে। অবশেষে ইলিশ-সুখ শুরু এই মরশুমে! হাতের গন্ধ, প্রাণের সুখ, পকেটেও স্বস্তি। দিঘাতে গত একসপ্তাহে জালে উঠেছে অন্তত ৮০ টন মাছ। সব রেকর্ড ভেঙে শুধুমাত্র গত রবিবারই উঠেছে ২৫ টন। অনুকূল আবহাওয়ায় প্রতিদিন রেকর্ড পরিমাণ ইলিশই ধরা পড়ছে দিঘার মৎস্যজীবীদের জালে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টন, সময় সময় আরও বেশি ইলিশ মাছও ধরা পড়ছে মৎস্যজীবীদের জালে।
advertisement
শহরের বাজারেও ইলিশ
শুধু দিঘা নয়। একই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। সেখানেও প্রচুর ইলিশ জালে উঠেছে। শহরের মানিকতলা বাজারেও মিলছে দেদার ইলিশ (Hilsa)। সেখান থেকে ছোট বাজারগুলিতেও যাচ্ছে ইলিশ। ফলে ইলিশের দাম কিছুটা হলেও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ইলিশের (Hilsa Fish) দাম আরও সস্তা হতে পারে আশা করছেন অনেকে।
শেষ এক মাস ছবিটা মোটেও ভালো ছিল না। খুব কম ইলিশ জালে উঠছিল। মজার কথা এতদিন যে ইলিশ বাজারে ছিল তা নিতান্তই ছোট ইলিশ। চড়া দামে বিকোচ্ছিল খোকা ও জাটকা ইলিশ। ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ধরাছোঁয়ার বাইরে কার্যত ছিল ইলিশ মাছ। কিন্তু শেষ এক সপ্তাহে প্রচুর ইলিশ মাছ জালে উঠেছে।
আরও পড়ুন : বড় বড় রথী-মহারথী ফেল! বলুন তো -এর ফুল ফর্ম কী? না জানলে জেনে নিন এই বেলা
দাম -দর কী বলছে?
তবে ইলিশের দাম যে খুব একটা সস্তা হয়েছে, এমনটা কিন্তু নয়। দিঘায় হাফ কেজি ইলিশের (Hilsa) দামও ৭০০ টাকার কাছাকাছি। আর এক কেজির দাম ১,২০০ থেকে ১,৫০০ টাকা। কোথাও কোথাও দামে একটু হেরফের রয়েছে। ফলে জালে উঠলেও ইলিশের দাম খুব একটা কমেনি। ফলে এখনই বাজারে ইলিশ কিনতে গেলে মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়ছে অনেকটাই। কিন্তু ইলিশ ব্যবসায়ীদের দাবি, দাম আগের থেকে কিছুটা কমেছে। আগে চাহিদা অনুযায়ী যোগান কম ছিল। এখন কিছুটা বেড়েছে। এমনটা যদি চলতে থাকে তাহলে ১ সপ্তাহের মধ্যে ইলিশের দামও আরও অনেকটা কমবে বলে জানাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা (Hilsa Fish)।