সিবিডিটি-র মতে, চাকরিজীবীদের পছন্দের কর কাঠামোর কথা নিয়োগকর্তাকে জানাতে হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না জানানো হয় তাহলে পুরনো কর কাঠামো অনুযায়ী কর কাটবেন নিয়োগকর্তা। পছন্দের ট্যাক্স ব্যবস্থার কথা জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই কর্মীদের কাছে মেল পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ই সহজ কৌশলে PPF-এর সুদ হবে দ্বিগুণ, ট্যাক্স বাঁচবে, হবে অর্থ সাশ্রয়ও
advertisement
পছন্দের কর কাঠামোর কথা জানানো কেন গুরুত্বপূর্ণ? আসলে সেই অনুযায়ী বেতনের উপর প্রযোজ্য উইথহোল্ডিং ট্যাক্স কাটা হবে। তাই যদি একজন কর্মচারী নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থা বেছে নেন, তাহলে নিয়োগকর্তা নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থার হার অনুযায়ী বেতন থেকে ট্যাক্স কেটে নেবেন। আর পুরনো কর কাঠামো বাছলে সেই অনুযায়ী ছাড় এবং কর কাটা হবে।
কর্মচারীদের জন্য অনুমোদিত কিছু সাধারণ ছাড়ের মধ্যে রয়েছে এইচআরএ, এলটিএ এবং স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। নিয়োগকর্তারা কর্মচারীর ভবিষ্যত তহবিল অ্যাকাউন্টে অর্থপ্রদানের জন্য কিছু পরিমাণও কেটে নেন, যা ধারা ৮০ সি-এর অধীনে ছাড়যোগ্য। এছাড়াও কর্মচারী হোম লোনের সুদের পেমেন্টে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, এনপিএস অ্যাকাউন্টে অর্থপ্রদানের জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং আরও বেশ কিছু দাবি করতে পারেন।
মাসিক নগদ প্রবাহ বজায় রাখতে কর্মীদের পুরনো কর কাঠামো বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ডিডাকশন এবং ছাড়ের সুবিধাও মিলছে। যদি চাকরিজীবী ব্যক্তি মনে করেন, নতুন কর কাঠামোয় আরও বেশি ট্যাক্স বাঁচানোর সুযোগ রয়েছে তাহলে আইটিআর ফাইল করার সময় তিনি পুরনো কর কাঠামো ছেড়ে নতুন কর কাঠামো বেছে নিতে পারেন।
আয়কর ব্যবস্থাকে আরও আকর্ষণীয় করতে বেশ কয়েকটি সংশোধনী এনেছে কেন্দ্র। পুরনো ব্যবস্থার পাশাপাশি চালু করা হয়েছে নতুন কর ব্যবস্থা। এতেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। পুরনো না কি নতুন, কোন কর কাঠামো ভাল হবে, তা নিয়ে সংশয়ে চাকরিজীবীরা। তবে যে কোনও একটা বেছে নিতে হবে এবং আর্থিক বছরের শুরুতেই সেটা জানিয়ে দিতে হবে নিয়োগকর্তাকে। সেই অনুযায়ী টিডিএস এবং অন্যান্য ডিডাকশন করা হবে। এই বিষয়ে আর দেরি না করাই উচিত হবে।