গেরিলা ট্রেডিং হল স্বল্পমেয়াদি ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি। ন্যূনতম ঝুঁকিতে অল্প সময়ে দ্রুত মুনাফার লক্ষ্যে ট্রেড করা হয়। সিঙ্গল ট্রেডিং সেশনে ছোটখাটো লেনদেনেই এই স্ট্র্যাটেজি অবলম্বন করেন পাকা বিনিয়োগকারীরা। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল সীমিত টাইমফ্রেম। এবং ডে ট্রেডারদের এমনভাবে দেখানো হয় যেন তাঁরা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে জড়িত। এটাই গেরিলা ট্রেডিংয়ের মূল চাবিকাঠি।
advertisement
সামান্য সময়ের মধ্যে একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে অল্প মুনাফা অর্জন করাই গেরিলা ট্রেডিংয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য। অর্থাৎ এতে সফল হতে গেলে বিনিয়োগকারীদের মিনিট কমিশন, মেজর লিভারেজ এবং ট্রেডিং স্প্রেডের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রেডে গেরিলা ট্রেডিংয়ের কৌশল সবচেয়ে ভাল খাটে। তবে যিনি জানেন, তিনি যে কোনও বাজারেই সোনা ফলাতে পারেন। তাই পোর্টফোলিও শক্তিশালী করতে অনেকেই গেরিলা ট্রেডিং কৌশল বেছে নেন।
গেরিলা ট্রেডিংয়ের বৈশিষ্ট: কম হলেও প্রতিটা লেনদেনে থেকে যেন লাভ হয়। এটাই চান গেরিলা ট্রেডাররা। তাই সিঙ্গল সেশনে একাধিক ট্রেড করা হয়। সামগ্রিক লাভ স্বল্পমেয়াদি ট্রেডিংয়ের ঝুঁকি উপেক্ষা করার জন্য যথেষ্ট।
অত্যন্ত স্বল্পমেয়াদি ট্রেডিংয়ের সময়সীমা: গেরিলা ট্রেডাররা এমন ক্ষেত্রে ট্রেড করেন যা কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। অর্থাৎ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাঁদের মতে, বেশি সময় মানে বেশি ঝুঁকি।
আরও পড়ুন, ‘জোটসঙ্গী’ সিপিএমকে বাংলায় আসন ছাড়বে তৃণমূল? কংগ্রেসের জন্যও কী ভাবনা শাসক দলের
আরও পড়ুন, নজরে ২০২৪! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাস্টার স্ট্রোক’ উত্তরবঙ্গে! জলপাইগুড়িতে বড় ঘোষণা? চর্চা তুঙ্গে
অল্প লাভ অল্প লোকসান: গেরিলা ট্রেডাররা ফরেক্স ট্রেডে ১০ থেকে ২০ পিপ মুনাফা করতে পারলেই খুশি হন। সোজা কথায়, তাঁরা ঝুঁকি নিতে রাজি হন। যদি লোকসান হয় সেটাও অল্প হবে। সর্বোচ্চ ক্ষতি বড়জোর ৫ থেকে ১০ পিপের মধ্যে থাকে।
একাধিক ট্রেড: সফল গেরিলা ট্রেডাররা সিঙ্গল ট্রেডিং সেশনে ২০ থেকে ২৫টির বেশি ট্রেড করেন। যাকে বলে লাগাতার। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশ্যে এলে এই সম্ভাবনা বাড়ে।
