আরও পড়ুন : পয়লা জুলাই কি ব্যাঙ্ক বন্ধ? জুলাই মাসে ১৪ দিন Bank Holiday! দেখুন তালিকা
২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh) সেই সময়ে বিহারের ডেপুটি সিএম-এর পদে বহাল সুশীল কুমার মোদিকে জিএসটি (GST Council) টিমে জায়গা দেন। এর পর তাঁকে অধিকারপ্রাপ্ত সমিতির সম্পাদক বানানো হয়। কালক্রমে তাঁর উপস্থিতিতেই জিএসটি আইনের ড্রাফটিং হয়েছিল। মানিকন্ট্রোলের সঙ্গে কথা বলার সময় সুশীল কুমার মোদি জানিয়েছেন যে, বিগত পাঁচ বছরে জিএসটি ব্যবস্থা আরও মজবুত হয়েছে।
advertisement
রাজ্য বদলাতে পারবে না কেন্দ্রের নিয়ম -
সুশীল কুমার মোদি জানিয়েছেন শেষ পর্যন্ত সবথেকে জটিল সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এর ফলে যে সকল রাজ্য জিএসটি কাউন্সিলের নিয়ম মানবে না, তাদের নিজেদেরই ক্ষতি হবে। কারণ অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে তারা আর ব্যবসা করতে পারবে না। বিহারের পূর্ব উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ২০২০ সালে কেরল লটারিতে বেশি ইউনিফর্ম ট্যাক্স লাগানোর প্রস্তাবের বিরোধিতায় ভোট দিয়েছিল। কিন্তু, পরে তারাও জিএসটি কাউন্সিলের (GST Council) আইন লাগু করে। এই ক্ষেত্রে আইজিএসটি আইন লাগু করা হয়। তিনি জানিয়েছেন যে কোনও রাজ্য নিজেদের আইন বদলাতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রের আইন বদলাতে পারবে না। কারণ যে কোনও জিনিস এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে গেলে, কেন্দ্রের আইনই চূড়ান্ত হবে। সেই ক্ষেত্রে রাজ্যের আইন মেনে চলা হবে না। এর ফলে সমস্ত রাজ্যকেই কেন্দ্রের আইন মেনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন : গরমে চুটিয়ে শসা খাচ্ছেন নাকি? জানেন এর ফলে কী হচ্ছে আপনার শরীরে? অবশ্যই জানুন
সুপ্রিম কোর্ট নতুন কিছু জানায়নি -
সুপ্রিম কোর্ট কিছুদিন আগেই জানিয়েছিল যে, জিএসটি কাউন্সিলের (GST Council) নিয়ম রাজ্যের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। এই ব্যাপারে সুশীল কুমার মোদি জানিয়েছেন যে, মিডিয়া মোহিত মিনারেল প্রাইভেট লিমিটেড মামলায় জড়িত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ব্যাখ্যাকে অন্য ভাবে তুলে ধরেছিল। এতে নতুন কিছুই নেই। কারণ সংবিধান সংশোধনে বলা হয়েছে যে জিএসটির নিয়ম আদতে রেকমেন্ডেটারি নেচারের। তিনি জানিয়েছেন জিএসটি ট্যাক্স সিস্টেম স্বাধীনতার পরে দেশের সবথেকে বড় অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত। যখন সেই সিস্টেম শুরু হয়েছিল, তখন কিছু সমস্যা হলেও এখন সেটি ঠিক পথেই এগিয়ে চলেছে।