সরকার জানিয়েছে, সম্ভাব্য ক্রেতাদের ন্যূনতম ২২,৫০০ কোটি টাকার নেট মূল্য থাকতে হবে। সফল দরদাতাকে অধিগ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছরের জন্য ইক্যুইটি মূলধনের কমপক্ষে ৪০ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে লক করতে হবে।
আরও পড়ুন: এই দুই ব্যাঙ্ক সিনিয়র সিটিজেনদের ফিক্সড ডিপোজিটে দিচ্ছে ৯ শতাংশের বেশি সুদ, দেখে নিন এক ঝলকে!
আরও পড়ুন: ১ একর জমিতে ১৫০ কুইন্টাল আলু চাষ করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের কৃষক, রহস্য জানুন আপনিও!
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকার আইডিবিআই ব্যাঙ্কের শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। একদিকে যখন দ্রুত বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে কেন্দ্র, তখন বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধেই লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছে সরকারি কর্মচারিরা। আইডিবিআই ব্যাঙ্কের এক কর্মকর্তার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতীয় জীবন বিমা কর্পোরেশন (এলআইসি) একসঙ্গে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ৬০.৭২ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করবে।
সরকারের ভাগ: আইডিবিআই ব্যাঙ্কে সরকারের অংশীদারিত্ব ৪৫.৪৮ শতাংশ। এলআইসি-র অংশীদারি ৪৯.২৪ শতাংশ৷ জানা গিয়েছে, সরকার এবং এলআইসি আইডিবিআই ব্যাঙ্কের কিছু অংশ বিক্রি করবে এবং তারপর ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণও ক্রেতার হাতে হস্তান্তর করা হবে। এর অধীনে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৪০ শতাংশের বেশি শেয়ার কেনার অনুমোদন দিতে পারে।
সরকারি কোম্পানিগুলো ছাড় পায়: সেবি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত সমস্ত কোম্পানির জন্য, তালিকাভুক্তির ৩ বছরের মধ্যে ন্যূনতম ২৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডিং প্রয়োজন। বর্তমানে সেবি-র এই নিয়ম থেকে সরকারি সংস্থাগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আইডিবিআই ব্যাঙ্কে সরকারের অংশীদারিত্ব সবচেয়ে বেশি, যার কারণে এই সংস্থাটিও ন্যূনতম ২৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডিং থেকে ছাড় পায়। আইডিবিআই ব্যাঙ্কে সরকার এবং এলআইসি উভয়ের ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
অনেক সরকারি কোম্পানি বেসরকারি হবে: প্রায় আধ ডজনের বেশি সরকারি কোম্পানির তালিকা করা হয়েছে। সেগুলিকে বেসরকারিকরণ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে শিপিং কর্পোরেশন, কনকর, ভাইজাগ স্টিল, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, এনএমডিসির নাগারনার স্টিল প্ল্যান্ট এবং এইচএলএল লাইফকেয়ার। শুধু তাই নয়, সরকার চলতি অর্থবছর ২০২২-২৩-এ সেন্ট্রাল পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস এর বিনিয়োগ থেকে এখনও পর্যন্ত ২৪,০০০ কোটি টাকারও বেশি সংগ্রহ করেছে।