আরও পড়ুন- একঘরে ৩ জন! ২ স্বামীকে একসঙ্গে কী ভাবে সামলান? শান্তভাবে স্ত্রী বললেন, ‘আমি ঠিক…’!
একদিকে যেমন এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন লাভজনক চাষের দিশা দেখিয়ে কৃষককে উৎসাহিত করা। অন্যদিকে একই জমিতে এক সময়ে একাধিক চাষ বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিকল্প চাষের মাধ্যমে লাভ হবার পথ। বর্তমান সময়ে কৃষকদের মধ্যে সরকারি সহায়তায় আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষ হচ্ছে গোটা জেলা জুড়ে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে লাভ পেয়ে উৎসাহিত বহু কৃষক।
advertisement
আরও পড়ুন- আপেল খাওয়ার এই বড় ‘ভুলে’ই ডেকে আনছেন ‘মৃত্যু’! কী মারাত্বক বিষ ছড়িয়ে পড়ছে শরীরে, জানেন?
উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল যথাযথ বাজার দর। উৎপন্ন ফসল সঠিক দামে বিক্রি করতে না-পেরে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় কৃষকদের। সেই দিকে গুরুত্ব দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে চাষীদের লাভবান হতে ‘ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানি’ গঠন। উৎপন্ন ফসল ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবে কৃষক। কমপক্ষে ৩০০ জন কৃষক একত্রিত হয়ে এফপি সি গঠন করতে পারবে। এর মাধ্যমে কৃষকরা লাভবান হবার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ টাটকা তাজা কৃষকের হাতে ফলানো ফসল ন্যায্য দামে কিনতে পারবে সুফল বাংলা আউটলেট এর মাধ্যমে।
যেখানে কৃষকদের উৎপন্ন ফসল এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে জ্যাম জেলি সসের মতো বিভিন্ন জিনিস পাওয়া যায়। সুফল বাংলা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিপণন দফতরের অধীনে এই সুফল বাংলার মাধ্যমে চাষী অর্থাৎ উৎপাদকরা লাভবান হতে পারেন। হাওড়া জেলায় এ পর্যন্ত ১১ টি এফপিসি রয়েছে। কৃষকদের জমি থেকেই সরাসরি উৎপন্ন ফসল কেনা হচ্ছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন দুপুর তিনটের সময় ফসল কেনার দাম নোটিশ করা হয়। সেই দামেই কৃষকদের থেকে জিনিস কেন হয়। বর্তমান সময়ে হাওড়া জেলায় দুটি আউটলেট রয়েছে। একটি বালি অভয়নগর অন্যটি শিবপুর মন্দিরতলা। যদিও এই দুটি আউটলেট ছাড়াও হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে মোবাইল আউটলেট এর মাধ্যমে জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে মানুষের কাছে।
রাকেশ মাইতি