টেক জায়ান্ট সংস্থার সিইও সুন্দর পিচাই জানিয়েছেন, ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগটাই ম্যানেজার পদে। তবে এবারই প্রথম নয়। গত দু’বছর ধরে কর্মী ছাঁটাই করে চলেছে গুগল। ম্যানেজার এবং ভিপি পদে সর্বশেষ ছাঁটাই করা হয় গত বুধবার। ১০ শতাংশ কর্মীর মধ্যে কয়েকজনকে ইনডিভিজুয়াল কনট্রিবিউটর হিসেবে রাখা হয়েছে। বাকিদের পুরোপুরি ছেঁটে ফেলা হয়েছে গুগল থেকে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে গুগলকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন সিইও সুন্দর পিচাই। শুরু হয় ছাঁটাই। গত বছরও ১২ হাজার কর্মী চাকরি হারান।
advertisement
বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, কর্মীদের গুগলকে আপডেট করার লক্ষ্য দিয়েছেন সুন্দর পিচাই। সঙ্গে জোর দিয়েছেন ‘গুগলিনেস’-এর উপর। পিচাই বলেছেন, এই শব্দ একসময় কোম্পানির জন্য উপযুক্ত বৈশিষ্টগুলির সারসংক্ষেপ হিসেবে ব্যবহৃত হত। কিন্তু এখন ম্লান হয়ে গিয়েছে। গুগলের মূল নীতিগুলো অক্ষুন্ন রাখার উপরেও জোর দিয়েছেন সুন্দর পিচাই। যেমন উদ্ভাবন, টিম ওয়ার্ক ইত্যাদি। পাশাপাশি তিনি কোম্পানির লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া, সহায়ক পণ্য তৈরি, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা, সৃজনশীল মনোভাব এবং সহযোগিতামূলক কাজের পরিবেশ গড়ে তোলার উপর জোর দেন।
প্রথম থেকেই আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে আশঙ্কা ছিল। অনেক বিশেষজ্ঞই অনুমান করেছিলেন, এআই-এর রমরমা বাড়লে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে অনেকের চাকরি যাবে। এখন আর তা অনুমানের পর্যায়ে নেই। সেটাই সত্যি হতে চলেছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সই তাই এখন গুগলের মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে টেক জায়ান্ট সংস্থাকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে শুধু গুগল নয়, এআই-আতঙ্কে ভুগছে অনেক কোম্পানিই। অ্যামাজনও ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করছে। ফুল-টাইম কর্মীর বদলে ইনডিভিজুয়াল কনট্রিবিউটর রাখার উপরে জোর দিচ্ছে তারাও।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের উপর কাজ করছে গুগলও। সম্প্রতি তারা এআই ভিডিও জেনারেটর নিয়ে এসেছে, যা ওপেন এআই-কেও টেক্কা দিতে পারে বলে দাবি করেছে কোম্পানি। পাশাপাশি জেমিনি মডে সিরিজও রয়েছে। সোজা কথায়, এআই নিয়ে রীতিমতো টক্কর চলছে টেক জায়ান্ট সংস্থাগুলির মধ্যে। নতুন নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে, চাকরিও হারাচ্ছেন অনেকে। এখন শেষ হাসি কে হাসে সেটাই দেখার।