ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৫.৫% করেছে, অন্য দিকে, নগদ রিজার্ভ অনুপাত (CRR) ৩% কমিয়ে আনা হয়েছে। এই পরিবর্তনকে মহামারীর পরে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক নীতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা সরাসরি গৃহঋণকে উপকৃত করেছে। সস্তা সুদের হারের কারণে শহরাঞ্চলে বাড়ির চাহিদা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরি নেই, ব্যবসা নেই ! তবুও প্রতি মাসে আয় হবে ৭০,০০০ টাকা, জেনে নিন কীভাবে
advertisement
সোনা: অনিশ্চয়তার মধ্যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা –
অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং মুদ্রাস্ফীতির সময়ে সোনা সর্বদা একটি নিরাপদ বিকল্প হয়ে দাঁড়ায়। ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ এবং ২০২৫ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির ভারী ক্রয়ের ফলে সোনার চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে এর দাম নতুন রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে।
বেসিক হোম লোনের সিইও অতুল মোঙ্গা বলেন যে, “ডিজিটাল সোনা এবং সোনার ইটিএফের মতো পদ্ধতিগুলি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এটিকে আরও সহজলভ্য করে তুলেছে।” তবে, কোনও নগদ প্রবাহ নেই এবং এটি বিক্রি না করা পর্যন্ত কোনও আয় হয় না।
আরও পড়ুন: ৬ দিনে সোনার দাম ৩৩,৩০০ টাকা কমেছে ? জানুন ৩০ জুন, ২০২৫ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত কেমন থাকতে পারে দাম
রিয়েল এস্টেট: দীর্ঘমেয়াদে দ্বিগুণ লাভ –
রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারীরা কেবল সম্পত্তির দাম বৃদ্ধির ফলেই উপকৃত হন না, বরং ভাড়া থেকে নিয়মিত আয়ও পান। আরবিআইয়ের সাম্প্রতিক নীতিগুলি এই খাতকে নতুন জীবন দিয়েছে।
মোঙ্গার মতে, “শহুরে এলাকায় রিয়েল এস্টেট একটি শক্তিশালী সম্পদ শ্রেণী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ সৃষ্টি এবং স্থিতিশীল আয় উভয়ই প্রদান করে।” তবে, এর জন্য আগে থেকেই প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় এবং এটিকে দ্রুত নগদে রূপান্তরিত করা সহজ নয়।
কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে –
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, উভয় বিকল্পেরই সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত চাহিদা এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে। কেউ যদি দ্রুত নগদ চান বা পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করতে চান, তাহলে সোনা একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। কিন্তু, কেউ যদি দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ তৈরি করতে চান এবং ভাড়া থেকে আয়ের প্রয়োজন হয়, তাহলে রিয়েল এস্টেট আরও লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।