যোগ্য়তা:
ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতার বিষয়টাই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে বিষয়টা সহজ। কারণ ১৮ বছর উর্ধ্বে যে কেউ কোনও রকম সিবিল স্কোরের ইতিহাস ছাড়াই গোল্ড লোন পেতে পারেন। এ-ক্ষেত্রে সোনা বন্ধক দিয়ে ঋণ পাওয়া যায়। গৃহবধূ থেকে পড়ুয়া কিংবা ব্যবসায়ী এবং চাকরিজীবী সকলেই এই ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য।
advertisement
সহজ প্রক্রিয়া:
গোল্ড লোন পাওয়ার প্রক্রিয়া খুবই সহজ। এর পিছনে রয়েছে উন্নত মানের ডিজিটাল টেকনোলজি। ফলে ঋণগ্রহীতাদের বেশি অপেক্ষা করতে হয় না। এমনকী ঋণ গ্রহীতাদের যাতে তেমন অসুবিধা না-হয়, তার জন্য বিভিন্ন ফিনটেক সংস্থা বিষয়টাকে আরও সহজ করে তুলেছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে আজকালকার দিনে গোল্ড লোন এখন সহজ, সুবিধাজনক এবং নিরাপদ।
দুর্দান্ত লোন-টু-ভ্যালু রেশিও:
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া গোল্ড লোনের বিষয়টাকে আরও শিথিল করার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আর এর জন্য লোন-টু-ভ্যালু বা এলটিভি রেশিও ৭৫ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ করেছে। যার ফলে ঋণগ্রহীতারা সোনার গহনার সাপেক্ষে উচ্চ পরিমাণ ঋণের দুর্দান্ত বিকল্প লাভ করে থাকেন। জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে স্বল্প টাকা জোগাড় করাটা কঠিন হয়ে যেতে পারে। তবে এমতাবস্থায় অত্যন্ত কম সময়ে গোল্ড লোন পাওয়া সম্ভব। মেডিকেল এমার্জেন্সি হোক, কিংবা সন্তানের শিক্ষা - এই সব কিছুতেই গোল্ড লোন স্বস্তি দিতে পারে গ্রাহককে।
সাশ্রয়ী সুদের হার
ব্যক্তিগত ঋণের মতো অসুরক্ষিত ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার খুবই বেশি হয়। বিশ্ব অর্থনীতিতে সাম্প্রতিক সুদের হার বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে, ফলে সুদও বেশ দামী হয়ে গিয়েছে। তবে গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কম। যার পরিমাণ বার্ষিক ৮.৫ শতাংশ। বাজারে সোনার মূল্য বাড়ছে। ফলে ঋণগ্রহীতারা যে কম পরিমাণ সুদ পরিশোধ করেন, তার থেকে লাভ পেতে পারেন। গোল্ড লোন গ্রাহককে আর্থিক বিষয় নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
লোন পরিশোধের সহজ প্রক্রিয়া
গোল্ড লোন খুবই ফ্লেক্সিবল, ফলে সহজেই তা পরিশোধও করা যেতে পারে। এটি পরিশোধ করার ফ্লেক্সিবল বিকল্প রয়েছে। যেখানে ঋণগ্রহীতারা প্রাথমিক ভাবে সুদ পরিশোধের বিকল্প বেছে নিতে পারেন। আর লোনের মেয়াদ শেষে বাকি পরিমাণটাও পরিশোধ করতে পারেন। ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান এবং ঋণ সংস্থাগুলিও ফোরক্লোজার পেনাল্টির জন্য আবেদন করে না। ফলে গোল্ড লোন আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।