সোনার ঋণে সুদের হার সাধারণত ৭ শতাংশ থেকে শুরু করে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত হয়। ঋণের পরিমাণ এবং ঋণগ্রহীতার আয়ের উপর সুদের হার নির্ধারণ হয়ে থাকে। ঋণের পরিমাণ যত বেশি হবে সুদের হার তত বাড়বে। নিয়মিত এবং উচ্চ আয়ের সঙ্গে ঋণের সুদের হার কম।
আরও পড়ুন: ২০ বছরে ৫ কোটি জমাতে চান? কোন ফান্ডে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে,জানালেন বিশেষজ্ঞরা
advertisement
তবে সোনার বিশুদ্ধতা সুদের হারকে খুব একটা প্রভাবিত করে না। এদের মধ্যে সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। কিছু ক্ষেত্রে ধরা যাক যখন বন্ধক রাখা সোনা ১৮ ক্যারাটের বিশুদ্ধতার হয়, তখন প্রযোজ্য সুদের হার সামান্য প্রভাবিত হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি সোনার গয়না মূল্যবান পাথর দিয়ে খোদাই করা হয় তাহলে বন্ধক রাখা সোনার মূল্য নির্ধারনের সময় সেই পাথরের ওজন বাদ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: দেখে নিন আপনার শহরে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল-ডিজেল....
ক্রেডিট স্কোরের কোনও ব্যাপার নেই: ক্রেডিট স্কোরও সোনার ঋণের সুদের হারের উপর কোন প্রভাব ফেলে না। এর প্রধান কারণ হল, সোনার ঋণের জন্য ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট স্কোরের প্রয়োজন হয় না। কারণ যিনি ঋণ দেন, তিনি প্রথমে সোনার মূল্যের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম দেন। এমন পরিস্থিতিতে গ্যারান্টি হিসাবে সোনাও রাখা হয়, তাই ক্রেডিট স্কোর এক্ষেত্রে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
কিছু এনবিএফসি এবং ব্যাঙ্ক ২ শতাংশ পর্যন্ত (জিএসটি বাদে) ফোরক্লোজার ফি নেয়। অর্থাৎ সময়ের আগে ঋণ পরিশোধ করলে এই চার্জ দিতে হবে। ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসিগুলিও ফোরক্লোজার ফি নেয়, যেখানে প্রায় সমস্ত নতুন যুগের ডিজিটাল ঋণদাতারা শুধুমাত্র সুদের হার চার্জ করে।
আরও পড়ুন: এলআইসি-র শেয়ার কিনতে গেলে কারা পাবেন ছাড়, বিস্তারিত জানিয়ে দিল সংস্থা
তবে গোল্ড লোন নেওয়ার কথা ভাবলে কোনও বিশ্বাসযোগ্য কোম্পানি কিংবা ব্যাঙ্কের কাছে সোনা বন্ধক রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ শেষ পর্যন্ত সম্পদের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি স্বর্ণ ঋণ নিলে তা সময়ে পরিশোধ করা জরুরি। কারণ ঋণগ্রহীতা যদি সোনার ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন তাহলে মূল্যবান ধাতু হারাতে হতে পারে কারণ ঋণদাতারা তাদের বকেয়া পুনরুদ্ধার করতে ওই সোনা বিক্রি করবে।