সম্প্রতি মানিকন্ট্রোল একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, বৈশ্বিক মন্দা, তেলের দাম বৃদ্ধি এবং দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হবে। মরগান স্ট্যানলিও তাদের নোটে এই বিষয়গুলোর উল্লেখ করেছে।
জিডিপি বৃদ্ধির হার কমানোর কারণ কী: ভারতে হু-হু করে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। ১৭ মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। ব্রোকারেজ ফার্ম মরগান স্ট্যানলির মতে, এই লাগামছাড়া মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করছে। নোটে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে শুধু মদ্রাস্ফীতি নয়, বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা হ্রাস, অর্থনৈতিক ফ্রন্টে চাপ, ব্যবসায় ধাক্কা এবং ক্যাপেক্স পুনরুদ্ধারে বিলম্বকে জিডিপির হার কমানোর কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে। বিশ্বজুড়েই জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকায় মুদ্রাস্ফীতি এবং চাহিদার ঘাটতি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা মরগান স্ট্যানলির।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৭৬.৭০ শতাংশ রিটার্ন, মন্দার বাজারেও বড়লোক করে দিয়েছে এই মাল্টিব্যাগার স্টক!
ভারতে মরগান স্ট্যানলির প্রধান অর্থনীতিবিদ উপাসনা চাচড়া এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, চাহিদার ঘাটতি, আঁটসাঁট আর্থিক অবস্থা, ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব এবং মূলধন ব্যয় পুনরুদ্ধারে বিলম্বের কারণেই জিডিপি বৃদ্ধির হার আরও কমবে’।
বেলাগাম মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা: ইতিমধ্যেই লাগামছাড়া মুদ্রাস্ফীতি রুখতে আসরে নেমেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেই এই সিদ্ধান্ত বলে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে। এর ফলে সুদের হার বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী মাসে মূল হার আরও বাড়াতে পারে আরবিআই।
আরও পড়ুন: ১৩ বছরে ৬ কোটি টাকার মূলধন, কোন মিউচুয়াল ফান্ডে কত বিনিয়োগ করলে মিলবে? দেখে নিন!
শুধু এটাই নয়, অপরিশোধিত তেলের ক্রমবর্ধমান দামের চাপ কমাতে রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। বর্তমানে ব্যারেল প্রতি ১৩৯ ডলারে তেল কেনে ভারত। রাশিয়ার থেকে সেটাই মাত্র ৩৫ ডলারের বিনিময়ে কেনার কথাবার্তা চলছে। উল্লেখ্য, ভারত তার প্রয়োজনের ৮০ শতাংশ তেলই আমদানি করে।