২৭ অক্টোবর ট্যুইটার কেনার জন্য চূড়ান্ত চুক্তি হয়। প্রাথমিকভাবে এলন মাস্ক ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১.২৩ লাখ কোটি টাকা। এই টাকা মেটাতে তাঁর কোম্পানি টেসলা থেকে ১২.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু পরে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত করে বলেন, চুক্তির বেশিরভাগ অর্থই নগদে দেওয়া হবে। এরপর মাস্ক এপ্রিল এবং আগস্টে টেসলার ১৫.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি করে দেন। এভাবে চুক্তির ২৭ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেন মাস্ক। আর বাকি টাকা?
advertisement
আরও পড়ুন: সোনার দামে বিরাট পরিবর্তন, দেখে নিন আজ ১০ গ্রামের দাম কত হল
অর্থ বিনিয়োগ করেছে: ট্যুইটারের সঙ্গে এই চুক্তিতে আছেন সফটওয়্যার নির্মাণ সংস্থা ওরাকলের সহ প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনও। তিনি ৫.২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছেন। ইতিমধ্যে ১ বিলিয়ন ডলারের অগ্রিম চেকও দিয়েছেন। কাতার সার্বভৌম সম্পদ তহবিল নিয়ন্ত্রণকারী কাতার বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষও অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এর বাইরে সৌদি আরবের যুবরাজ আলওয়ালিদ বিন তালালও মাস্ককে ৩৫ মিলিয়ন শেয়ার স্থানান্তর করেছেন, যার বিনিময়ে তিনি ট্যুইটার শেয়ার পাবেন।
আরও পড়ুন: বিক্রি হতে চলেছে দেশের অন্যতম বড় সরকারি ব্যাঙ্ক! আগামী কয়েকদিন গুরুত্বপূর্ণ
বাকি টাকা ব্যাঙ্ক থেকে: এখন চুক্তি সম্পূর্ণ করার জন্য বাকি থাকল ১৩ বিলিয়ন ডলার। এই টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ আকারে নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে মরগান স্ট্যানলি, ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা, মিতসুবিশি ইউএফজে ফিনান্সিয়াল কর্প, মিজুহো, বার্কলেস, সোসাইট জেনারেল এবং ফ্রান্সের বিপিএন পারিবাস। মর্গ্যান স্ট্যানলি একাই ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে। এই সমস্ত ব্যাঙ্ক মাস্ককে শুধু ঋণ দিচ্ছে তাই নয়, ট্যুইটারের গ্যারান্টিও দেবে। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব ট্যুইটারের। এছাড়া যে কোনও বিরোধও এর মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।
মাস্কের ৯.৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে: অনেকেই হয় তো জানেন না এলন মাস্ক ইতিমধ্যেই ট্যুইটারের ৯.৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক। জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালের প্রথমার্ধে কোনও লাভ করতে পারেনি ট্যুইটার। বরং লোকসানে পড়েছে। উল্লেখ্য, মাস্কের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২২০ বিলিয়ন ডলার। ট্যুইটার কেনার পাশাপাশি তিনি এর বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তনের কথাও ভাবছেন।