ফলতার নপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা শামীম মোল্লা বিদেশের চাকরি ছেড়ে এই ফ্যান্সি মুরগি প্রতিপালনের ব্যবসায় বুঁদ হয়েছেন। বিদেশি মুরগির প্রতিপালন করার পাশাপাশি সেগুলি বিক্রিও করেন তিনি। শুধু এ রজ্যের বিভিন্ন জেলায় নয় অসম, বিহার, ওড়িশার মত রাজ্যের লোকজন শামীমের কাছ থেকে এই বাহারি মুরগি কিনে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: পিএনবি-র ৪৬ দিনের FD-তে ২ লক্ষ টাকা রেখেছেন? মেয়াদ শেষে কত টাকা পাবেন বিনিয়োগকারী? বুঝে নিন
advertisement
বর্তমানে ১৩ থেকে ১৪ রকমের বিদেশি মুরগির প্রতিপালন করেন শামীম। মূলত দক্ষিণ বা পশ্চিম ভারতের বড় বড় প্রতিপালকের কাছ থেকে এই মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসে আদর যত্ন করে বড় করে তোলেন তিনি। তারপর চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করা হয়। ওই যুবক বলেন, এইসব মুরগি বিদেশ থেকে বড় বড় প্রতিপালকরা নিয়ে আসেন। তাঁদের কাছ থেকেই আমাদের সেগুলি কিনতে হয়। একেকটি মুরগির বাচ্চা ৪০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: ভোটার আইডির সঙ্গে আধারের লিঙ্ক না করালে কি ভোট দিতে পারবেন? জেনে নিন উত্তর
শামীম হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে দুবাই এবং সৌদি আরবেহোটেলে কাজ করতেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বাহারি মুরগির ভিডিও দেখতে দেখতে নিজের মধ্যে সেগুলি প্রতিপালন করার ইচ্ছে তৈরি হয়। তাই দেড় বছর আগে বিদেশের চাকরি ছেড়ে এই কাজে যুক্ত হয়েছেন ওই যুবক। বর্তমানে শামীমের খামারে বড় হচ্ছে হোয়াইট আমেরিকান সিল্কি, গোল্ডেন আমেরিকান সিল্কি, ফ্রিজিল, পলিশ ক্যাপ, গোল্ডেন ওয়ায়েনডট, জাপানের ওনাগাদরি, সেব্রাইট, কলম্বিয়ান লাইট ব্রাহামা সহ বিভিন্ন দেশের মুরগি। তবে তাদের দেখভাল বা আদর যত্ন করতে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা করতে হয় না বলেই দাবি করেছেন শামীম।
তিনি বলেন, শীতকালে এই মুরগির খাঁচাগুলি একটু ঢেকে রাখতে হয় এবং ভিতরে তাদের গরম রাখার জন্য ১০০ ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়ে রাখা হয়। গরমকালের ওদের ওআরএস যুক্ত জল খাওয়াতে হয়। কিন্তু কীভাবে তাঁর এই বিদেশি মুরগির প্রতিপালনের খবর ছড়িয়ে পড়ল? শামীমের কথায়, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করার পর অনেকে আগ্রহ দেখে মুরগি কিনতে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে বেশিরভাগই বাড়িতে পোষার জন্য কিনে নিয়ে গিয়েছেন।
সুমন সাহা