গত প্রায় এক বছর ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে হঠাৎ উত্তাল হয়েছে পৃথিবী। ইতিমধ্যেই Scale AI নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। চর্চার কেন্দ্রে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ স্ব-প্রতিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার, Scale AI-এর সিইও আলেকজান্ডার ওয়াং। পাশাপাশি স্পটলাইটের আলো রয়েছে লুসি গুও-র উপরও। লুসি Scale AI-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী স্ব-প্রতিষ্ঠ নারী। ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীদের তালিকায় কাইলি জেনারের পরেই তাঁর নাম।
advertisement
২০১৮ সালে লুসি Scale AI থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু এখনও ওই সংস্থায় তাঁর প্রায় ৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। Scale AI-এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ এই সময় প্রায় ৭.৩ বিলিয়ন ডলার। কলেজে পড়াকালীনই ওয়াং-এর সঙ্গে মিলে এই মাল্টি-মিলিয়ন ডলার সংস্থার জন্ম দিয়েছিলেন লুসি।
খুব ছোটবেলা থেকেই লুসির আগ্রহ ছিল কোডিংয়ের প্রতি। লুসির বাবা-মা দু’জনেই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তাঁরা লুসিকে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু সেই বাধা মানেননি লুসি।
কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য কার্নেগি মেলনে ভর্তি হন, কিন্তু ২০১৪ সালে থিয়েল ফেলোশিপ পাওয়ার পরই কলেজ ছেড়ে যান। এই ফেলোশিপে ১ লক্ষ ডলার দেওয়া হয় যোগ্যতার ভিত্তিতে। এরপর, লুসি Facebook-এ ইন্টার্নশিপ করেন এবং তারপরে তিনি Quora এবং Snapchat-এ প্রডাক্ট ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন।
২০১৫ সালেই তাঁর সঙ্গে ওয়াং-এর দেখা। সেই বছরই তাঁরা Scale AI শুরু করেন। কিন্তু লুসি-ওয়াং জুটি এই ক্ষেত্রে কাজ করেছেন মাত্র দু’বছর। এই সময়ের মধ্যেই তাঁরা বিস্ময় তৈরি করেছেন।
২০১৮ সালে, লুসি এবং ওয়াং ঠিক কেন আলাদা হয়ে যান, তার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে লুসি এখনও ওই সংস্থার ৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক। Scale AI ছাড়ার পর লুসি Backend Capital এবং Passes-এর মতো সংস্থাও খোলেন।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে লুসির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন ডলার। কোডিংয়ের পাশাপাশি, তিনি আর্থিক বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়িক মডেলের সাহায্যে তার ব্যাঙ্ক ব্যালান্সও বাড়িয়েছেন। এই মুহূর্তে লুসি Passes-এর সিইও পদে আসীন।
তবে শুধুই অর্থ, প্রতিপত্তি নয়। লুসির পরিচিতি তাঁর ফিটনেসেও। বিশ্বের অন্যতম ফিট সিইও-দের একজন বছর আঠাশের লুসি।