ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বকেয়া পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে অনেক সময়ই সমস্যা তৈরি হয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো ন্যূনতম বকেয়া পরিশোধ করার পরও সুদের হার বাড়তে থাকে। তা নিয়ে অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়েন। মনে রাখতে হবে, ন্যূনতম বকেয়া মেটালেও সুদ দিতেই হবে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সময় সচেতন ভাবে করতে হবে। দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি দিক—
advertisement
১. অনেকেই প্রতিমাসে ক্রেডিট কার্ডে শুধুমাত্র বকেয়া ন্যূনতম অর্থ পরিশোধ করে থাকেন। এটি একটি ভুল পদক্ষেপ। এতে আসল তো শোধ হয়ই না, উল্টে মোট বিলের পরিমাণের উপর প্রতি মাসে সুদ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক সময় তা বড় আকার ধারণ করতে পারে।
২. যে কোনও কেনাকাটার উপর সুদ নেওয়া হয় ক্রয়ের তারিখ থেকে ‘বিলিং সাইকল’ শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
৩. মনে রাখতে হবে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার বেশ চড়া, বার্ষিক ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যেই তা থাকে।
৪. ব্যাঙ্কের তরফ থেকে যে ন্যূনতম বকেয়া শোধ করার কথা জানানো হয় তা আসলে নির্দিষ্ট বিলের ৫ শতাংশ মাত্র।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের পরিকল্পনা? এক নজরে দেখে নিন কেন লাইফ ইনস্যুরেন্স বাদ দিলে চলবে না!
৫. নিয়মিত অর্থ শোধ করতে না পারলে, বড়সড় আর্থিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। শুধুমাত্র ন্যূনতম বকেয়া শোধ করে গেলে ঋণের ফাঁদে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
আরও পড়ুন: এভাবে ক্রেডিট স্কোর ভাল করা যায়, লোন বা ক্রেডিট কার্ড নিতে সমস্যা হবে না!
৬. ন্যূনতম বকেয়া সময়মতো মিটিয়ে দেওয়ার অর্থ হল মোট বিলের ৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়া। এটি ঠিক সময় করলে কর্তৃপক্ষ বিলম্ব জনিত জরিমানা (লেট ফাইন) কাটবে না। তা ছাড়া, আর কোনও বিশেষ সুবিধা আশা করা উচিত নয়।