আয়কর নিয়মের অধীনে, ব্যক্তিগত আয় অনুসারে করের স্তর বা কর স্ল্যাব হয়ে থাকে, সে কথা প্রায় সকলেই জানেন। কিন্তু কী ভাবে পারিবারিক আয়ের উপর কর প্রযোজ্য হয়, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আর এই অংশে একটু বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নজর দিলেই আয়করের ক্ষেত্রে অনেকটা সাশ্রয় করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সন্তানের উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা করছেন? এই বিষয়গুলো মেনে চললে টাকার অভাব হবে না
advertisement
আয়কর বাঁচানোর সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে আসে পারিবারিক আয়কর। একে বলা হয় গোল্ডেন রুল। সে ক্ষেত্রে পরিবারের আয় যতটা সম্ভব বেশি ভাগে ভাগ করে দেখানো যেতে পারে।
ধরা যাক, কোনও পরিবারের আয় ৪৫ লক্ষ টাকা। এই গোটা অংশটাই আসে পরিবারের প্রধানের হাতে। নতুন কর পরিকল্পনার অধীনে, এই আয়ের উপর ১১ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা কর দেওয়ার কথা। যা মোট আয়ের সরাসরি ২৫ শতাংশ। কিন্তু এই পরিমাণ কর না দেওয়ার কিছু পন্থা রয়েছে। এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
আরও পড়ুন: ভাড়া থেকে আয় করেন? সেই উপার্জনকে কোথায় বিনিয়োগ করবেন জেনে নিন
১. মোট আয়কে তিনটি ভাগে ভাগ করা:
কর বাঁচাতে কৌশলগত ভাবে পরিবারের মোট আয় ৪৫ লক্ষ টাকাকে তিনটি ভাগে ভাগ করে ফেলতে হবে। পরিবারের সব সদস্যদের মধ্যে। এর বাইরে HUL তৈরি করা যেতে পারে। মোট আয়কে তিনটি ভাগে ভাগ করার পরে, ৪৫ লক্ষ টাকা জনপ্রতি ১৫ লক্ষ টাকা হয়ে যাবে।
এই আয় অনুযায়ী জনপ্রতি কর দিতে হবে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। যা গড়ে ২৫ শতাংশ থেকে কমে ১২-১৩ শতাংশে নামবে। এইভাবে কোনও ব্যক্তি ১২ শতাংশ পর্যন্ত কর কমাতে পারেন। এতে সাশ্রয় হবে প্রায় ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। তবে ওই তিনজনেরই উপার্জনের ক্ষেত্রে অবদান থাকতে হবে এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিনিয়োগ আয় বণ্টন করতে হবে।
২. আয়ের উপর কর সংরক্ষণ:
পরিবারের আয় যদি ২২ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে এই আয়ের উপর কর না দিলেও চলবে। নিয়ম অনুসারে, এই পরিমাণ আয়ের উপর ২০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হয়, যা প্রায় ৪ থেকে ৪.৫ লক্ষ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী কর বাঁচাতে গেলে ২২ লক্ষ আয়কে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে।
আয়কর থেকে পাওয়া ছাড় অনুসারে, স্বামী এবং স্ত্রীর ক্ষেত্রে, ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা আয়ের উপর কর দিতে হবে না। আয়কর সাশ্রয়ের নানা বিকল্প যেমন ৮০সি, ৮০ডি এবং ২৪ ধারায় বিনিয়োগ করে করছাড় পাওয়া যেতে পারে। এর জন্য ভিন্ন তিনজনের মধ্যে ৯ লক্ষ, ৯ লক্ষ এবং ৪ লক্ষ টাকা বাটোয়ারা করে দেখাতে হবে।
