জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র এক দফায় নয়, সম্প্রতি এই লক্ষ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) এই সপ্তাহের শুরুতে ফিক্সড ডিপোজিটে (Fixed Deposit) দু'বার আমানতের হার বাড়িয়েছে। স্থায়ী আমানতের হার বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ব্যাঙ্কগুলির দাবি, ইতিমধ্যেই ঋণদাতারা নন-ব্যাঙ্কিং (NBFC) আর্থিক সংস্থাগুলির দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ফলে সরকারি ব্যাঙ্কের কোষাগার প্রায় তলানিতে। আমানত বৃদ্ধির এই প্রতিযোগিতায় স্বভাবতই নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলির থেকে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে সরকারি ব্যাঙ্কগুলি। শুধুমাত্র স্থায়ী আমানতের হার বৃদ্ধিই নয়, সুদের হার ও যে তার সঙ্গে বাড়তে পারে সে ইঙ্গিতও স্পষ্ট মিলেছে। কারণ দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ঋণদাতা এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক (AXIS BANK) এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কাছ থেকে একটি রিপোর্টও মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
এ বিষয়ে সম্প্রতি নন- ব্যাঙ্ক ঋণদাতা সংস্থাগুলির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সাফ জানিয়েছেন, বর্তমানে আমানতকারীদের টাকায় চলতে থাকা নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলি আমানতের ও সুদের হার বৃদ্ধি করেছে একাধিক বার। কারণ ওই সংস্থাগুলি মূলত তাদের আর্থিক পরিকাঠামো মজবুত করতে সর্বদা উদ্যোগী। পাশাপাশি সরকারি ব্যাঙ্কগুলির এই সিদ্ধান্তের জন্য আগামী অর্থবর্ষের আগে আমানতকারীরা তাদের স্থায়ী আমানতের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন বলেও নিশ্চিত তিনি।
আরও পড়ুন: এ বছরই দেশে চালু ডিজিটাল মুদ্রা! বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর, জানুন বিস্তারিত...
সম্প্রতি এসবিআই তাদের আমানতের হার ১০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। পাশাপাশি আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কও একই হার বৃদ্ধি করেছে। এমনকী এসবিআই দু'কোটি টাকার নিচে স্থায়ী আমানতে সুদের হার বাড়িয়েছে।
এমনিতেই মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমশ উর্ধ্বগামী। ফলে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। কারণ আমানত ও সুদের হার বৃদ্ধির এই চক্রটি মূলত নিয়ন্ত্রিত হয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাত ধরে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী মুদ্রানীতি ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই বিক্রি হবে এলআইসি-র শেয়ার! বাজেটের শুরুতেই ঘোষণা নির্মলার
সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তের দিকে লক্ষ্য রেখে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবার গ্রুপ প্রেসিডেন্ট শান্তি একম্বরম (Shanti Ekambaram) বলেন, 'অর্থনীতির বেহাল দশা ও উর্ধ্বগামী মুদ্রাস্ফীতি রুখে দিতে এটি বেশ কার্যকর হতে পারে'। এসবিআই সহ একাধিক ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তে দেশের বেহাল অর্থনীতি ও মুখ থুবড়ে পড়া ব্যাঙ্কের আর্থিক হাল ফিরবে কী না তার উত্তর পাওয়া যাবে আগামী দিনে। তবে আমানতকারীরা যে আপাতত এই সিদ্ধান্তে বেশ খুশিতে রয়েছেন তা বলাই বাহুল্য।