কিন্তু, বিনিয়োগকারীরা চাইলে প্রতি বছর ব্যাঙ্ক থেকে এর সার্টিফিকেট বের করতে পারেন। কিন্তু ট্যাক্সের বোঝা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করতে হয়। করদাতাদের কাছে বিকল্প থাকে যে, তাঁরা নিজেদের আয় দুই ভাবে দেখাতে পারেন। এ-ক্ষেত্রে একটি চাকরি বা ব্যবসা থেকে হওয়া আয় এবং অন্যটি অন্য মাধ্যম থেকে হওয়া লাভ। ফিক্সড ডিপোজিটের কর অন্য আয় থেকেই কাটা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: তিন মাস নয়, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বিল দিতে হবে প্রতি মাসেই? বড় ইঙ্গিত অরূপ বিশ্বাসের
বিকল্প:
ফিক্সড ডিপোজিট নাবালক সন্তানের নামে করা হলে, সেখান থেকে হওয়া আয় অভিভাবকদের আয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এ-ক্ষেত্রে সন্তান যত দিন নাবালক থাকবে, তত দিন সেটি করা যাবে। কিন্তু কেউ যদি সুদের আয়ের জন্য নগদের ভিত্তি অনুসরণ করে থাকেন, তা-হলে তাঁর সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সেই সুদ তাঁর আয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এ-ক্ষেত্রে ফিক্সড ডিপোজিটের সময়সীমা পার হলে যখন সন্তান সাবালক হবে তখন সেটি করা হবে। এ-ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে এক বার সেই পদ্ধতি অবলম্বন করার পরে, সেই পদ্ধতির পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: শ্রীভূমি দিয়েই শুরু, লক্ষ্মীবারে 'ভ্যাটিকান সিটি'র উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী! জনজোয়ারের অপেক্ষা
ফিক্সড ডিপোজিট করার সময় আরও যে বিষয়টা মাথায় রাখা জরুরি, সেটা হল - সন্তান কবে সাবালক হবে, সেই হিসাব অনুযায়ী ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ নির্ধারণ করা প্রয়োজন। অর্থাৎ সন্তান যখন সাবালক হবে, তখন যেন ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদপূর্তি হয়। এ-ক্ষেত্রে যদি ফিক্সড ডিপোজিটের সময়সীমা কম হয়, তা-হলে সন্তানের সাবালক হওয়া পর্যন্ত সেটি রিনিউ হয়ে যায়। এই ধরনের ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সুদ নিজেদের আয়ের সঙ্গে জুড়তে হয়। এর জন্য সবার আগে যে কোনও একটি বিকল্প বেছে নেওয়া প্রয়োজন।
ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ্যমে হওয়া আয় প্রতি বছর বিনিয়োগকারীদের মোট আয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। যদি ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের ক্ষেত্রে টিডিএস কাটা না-হয়, তা-হলে সেটি মোট আয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয় এবং সেই হিসাবেই ট্যাক্সের গণনা করা হয়। এর ফলে সব সময় মনে রাখা প্রয়োজন যে, প্রতি বছরের সুদের দ্বারা হওয়া আয় ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইলে দেখানো প্রয়োজন। এ-ক্ষেত্রে ফিক্সড ডিপোজিট ম্যাচিউর হওয়ার অপেক্ষা করা উচিত নয়।