TRENDING:

কৃষকদের মুশকিল আসান! আয় বাড়বে, পেনশনও মিলবে, এই ৫ প্রকল্পের সুবিধে নিন!

Last Updated:

Five important schemes for farmers: কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা থেকে ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপও নিয়েছে সরকার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ভারত কৃষিপ্রধান দেশ। জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষকদের উন্নতির জন্য স্বাধীনতার পর থেকে একাধিক প্রকল্প এনেছে সরকার। তৈরি করা হয়েছে একাধিক কমিটি। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা থেকে ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপও নিয়েছে সরকার।
advertisement

একাধিক কমিটির পরামর্শে কৃষকদের অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে কৃষক সম্মান নিধি যোজনা, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা, কিষাণ ক্রেডিট স্কিম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা: প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা হল কৃষকদের উন্নতির জন্য ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের অধীনে, কৃষক প্রতি বছর তিন কিস্তিতে ৬০০০ টাকা পান। এই টাকা সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বিশ্ব বাজারে মন্দা, ভারতীয় আইটি সেক্টরের জন্যও বিপদ সংকেত, জানুন বিস্তারিত

সরকার এখনও পর্যন্ত কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ৮টি কিস্তির টাকা পাঠিয়েছে। খুব শীঘ্রই নবম কিস্তির টাকা পাঠানো হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করা হয়। এই কল্যাণ প্রকল্পের অধীনে, এখন পর্যন্ত কৃষকরা ১১টি কিস্তিতে টাকা পেয়েছেন। এখন ১২তম কিস্তির পরিমাণ ১৭ অক্টোবর কৃষকদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হবে।

advertisement

প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা: অনেক সময় অতিবৃষ্টি, ঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকদের মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এটা বিপুল ধাক্কা। ফসল ফলানোর টাকা তো নষ্ট হলই, ফসল বিক্রির টাকাও ঘরে এল না। এমন অসহায় পরিস্থিতিতে অনেক কৃষকই আত্মহত্যার মতো পদক্ষেপ নেন। এই সমস্যার সমাধানেই ২০১৬ সালে ফসল বিমা যোজনা চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

advertisement

আরও পড়ুনঃ কন্যা সন্তানদের জন্য এই ১০ বিনিয়োগ পরিকল্পনা রাখুন, যা দেবে আজীবনের সুরক্ষা

এই প্রকল্পের অধীনে, বীজ বপনের আগে থেকে ফসল কাটার পর পর্যন্ত বিমা কভার পাওয়া যায়। শস্য বিমা প্রকল্প রবি, খরিফ শস্যের পাশাপাশি বাণিজ্যিক এবং উদ্যানজাত ফসলকে কভার করে। যাই হোক, এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে কৃষকদের খরিফ ফসলের জন্য ২ শতাংশ এবং রবি শস্যের জন্য ১.৫ শতাংশ প্রিমিয়াম দিতে হয়৷

advertisement

কিষাণ ক্রেডিট কার্ড: কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পটি ১৯৯৮ সালে শুরু হয়। এই কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়। সেই টাকায় তাঁরা বীজ, কীটনাশক ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ কিনতে পারেন। বিশেষ বিষয় হল কৃষকরা যদি এই প্রকল্পের আওতায় নেওয়া ঋণ এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করেন, তাহলে সুদের হারে ৩ শতাংশ ছাড় মেলে।

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনা: এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের পেনশন দেওয়া হয়। ৬০ বছর বয়স হলে প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩০০০ টাকা পাওয়া যায়। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে, কৃষকদের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫৫ থেকে ২০০ টাকা জমা দিতে হয়। ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর তাঁদের পেনশন দিতে শুরু করে সরকার।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

পশুসম্পদ বিমা প্রকল্প: গ্রামীণ ভারতের কৃষকদের আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ও পশুপালন। গবাদি পশুর আকস্মিক মৃত্যুর কারণে কৃষকরা ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং এর ক্ষতিপূরণের জন্য গবাদি পশু বিমা প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় দুগ্ধবতী গরু ও মহিষের বিমা করা হয়। এই স্কিমে, বিমার প্রিমিয়ামের ৫০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে। যদি একজন কৃষক বিমা মেয়াদে তাঁর পশু বিক্রি করেন এবং বিমা পলিসির মেয়াদ শেষ না হয়, তাহলে কৃষক বা মালিক পলিসির অবশিষ্ট সময়ের সুবিধা পান।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
কৃষকদের মুশকিল আসান! আয় বাড়বে, পেনশনও মিলবে, এই ৫ প্রকল্পের সুবিধে নিন!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল