২০২৩ সালে নিজেদের অর্থনৈতিক ভিত আরও মজবুত ভাবে গড়ে তোলার জন্য মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি উপায়। কিছু ভুল একেবারেই করা চলবে না—
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি! সুরক্ষিত থাকতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
সন্তোষ -
নিজেদের আর্থিক ভিত মজবুত করতে চাইলে কখনও বর্তমান রোজগারে সন্তুষ্ট হয়ে পড়লে চলবে না। সব সময় আয়ের পথ খুঁজে যেতে হবে এবং আয় বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। কী ভাবে আরও উপার্জন বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
advertisement
বিকল্প আয় -
সব সময় একটি আয়ের উৎসে থাকলে চলবে না। আয়ের বিভিন্ন পথের অনুসন্ধান করতে হবে। এই ক্ষেত্রে একটি মাত্র উৎস থেকে আয় হলে, বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করে সেই আয় বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু, একটি মাত্র নির্দিষ্ট আয়ের উপরে ভরসা করে বসে থাকলে চলেবে না।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল রুপোর দাম, সোনার বাজারের ছবিটা কীরকম? জেনে নিন কেনাকাটার আগে!
অন্যের সঙ্গে তুলনা -
কখনও অন্যের আয়ের সঙ্গে তুলনা করা চলবে না। এর ফলে নিজেদের মানসিক পরিস্থিতি খারাপ হবে। অন্যের আয়ের সঙ্গে তুলনায় না গিয়ে, কী ভাবে নিজেদের আয় বাড়ানো যাবে, সেই দিকে মন দিলে নিজেরই লাভ হবে।
নতুন গ্যাজেট -
বাজারে প্রতিদিনই নতুন নতুন গ্যাজেট লঞ্চ হচ্ছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একের পর এক গ্যাজেট কিনে উপার্জিত অর্থ খরচ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ওই টাকা কোথাও বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্বাস -
অর্থনৈতিক বিষয়ে অন্য কাউকে বিশ্বাস না করাই ভাল। বর্তমানে বাজারে বিনিয়োগ করার বিভিন্ন ধরনের মাধ্যম রয়েছে। কিন্তু, না জেনে যে কোনও জায়গায় বিনিয়োগ করলে লাভের চেয়ে লোকসানের আশঙ্কারই বেশি।
বিনিয়োগ -
ধনী হতে চাইলে এবং নিজেদের আর্থিক ভিত মজবুত করতে চাইলে একমাত্র পথ হল বিনিয়োগ। অর্থ বিভিন্ন মাধ্যমে বিনিয়োগ করলেই, ভবিষ্যতে উন্নতি সম্ভব। এ জন্য অল্প বয়স থেকেই বিনিয়োগ শুরু করা প্রয়োজন।
অন্যদের খুশি করার চেষ্টা -
যেমন মানসিক, তেমনই অর্থনৈতিক—অন্যকে খুশি করার চেষ্টা আসলে ভয়ঙ্কর। এই পরিস্থিতিতে অনেক সময়ই অকারণ খরচ হয়ে যায়।
ঋণ -
নিজের প্রয়োজন এবং আয়ের উৎস, পরিশোধের ক্ষমতা বুঝে ঋণ নেওয়া প্রয়োজন। না হলে সারা জীবন ঋণ পরিশোধ করতেই কেটে যেতে পারে।
খরচ -
ভবিষ্যতের সুরক্ষার জন্য খরচের উপর বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে খরচ কম করলে সঞ্চয় বেশি হবে, যা বিভিন্ন মাধ্যমে বিনিয়োগ করা সম্ভব। কিন্তু, বর্তমানে খরচ বেশি হলে সঞ্চয় কম হবে এবং কোথাও বিনিয়োগ করা সম্ভব হবে না।