অন্য অনেক রাজ্যের মতো ছত্তিসগঢ়ে এই সময় বেড়েছে রঙিন মাশরুমের। করোনা অতিমারীর দাপটে লকডাউনের সময় স্থানীয় কৃষকরা গোলাপি এবং হলুদ রঙের মাশরুম চাষ শুরু করেছিলেন। সেই চাষই এখন আরও খানিকটা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: কীভাবে NPS থেকে প্রতি মাসে ৫০০০০ টাকা পেনশন পাবেন? জেনে নিন
গবেষণায় দেখা গেছে, এই রঙিন মাশরুম শরীরের পক্ষে উপকারি। এগুলি ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। সেই কারণেই সারা দেশে এই বিশেষ ধরনের মাশরুমের চাহিদা আরও বেড়েছে। ছত্তিসগঢ়ের নাভা রায়পুর ছাড়াও, রঙিন মাশরুম চাষ হচ্ছে আভানপুর, বাসনা, ধামতারি এবং রাজনন্দগাঁও এলাকাতেও। এই সব এলাকায় উৎপন্ন মাশরুম রফতানি করা হয় মহারাষ্ট্র, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের একাধিক শহরে।
advertisement
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকার SIP-তে মিলবে ২৮.৭৩ লাখ রিটার্ন, বিনিয়োগকারীদের মালামাল করে দিয়েছে এই ফান্ড
তামিলনাড়ুর সালেম শহরের পেরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ছত্তিসগঢ়ের গোলাপি ও হলুদ মাশরুম নিয়ে গবেষণা করেছে। এই গবেষণা থেকে জানা গেছে, এই মাশরুমগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই মাশরুমগুলিতে প্রদাহ রোধ করার মতো উপাদানও রয়েছে, যা অটো ইমিউন প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাই অনেক রোগ, বিশেষত ক্যানসারে ক্ষেত্রে এটি উপকারি হতে পারে।
নারীদের কর্মসংস্থান—
স্থানীয় বাচেলি গ্রামে তো বটেই, তার বাইরেও এখন ছত্তিসগঢ়ের অনেক এলাকায় এই ধরনের রঙিন মাশরুম চাষ করা হচ্ছে। আয়ের সুযোগ রয়েছে বুঝতে পেরে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। তাই শুরু হয়েছে কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও। মাশরুম চাষ করছেন স্থানীয় নম্রতা ইয়াদু। করোনার সময় থেকেই তিনি এই চাষে জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁর মতো আরও অনেক মহিলাই গ্রামে নিজের নিজের এলাকায় রঙিন মাশরুমের চাষ করছেন। ভালই রোজগার হচ্ছে, এমনটাই জানান তাঁরা। তবে গোলাপি মাশরুম প্রতি মরশুমে জন্মালেও হলুদ মাশরুমের উৎপাদন হয় শুধুমাত্র শীতকালে।