TRENDING:

Siliguri News: পলি হাউজের ভিতরে ক্যাপসিকাম চাষ করে কৃষকদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন দুই ব্যবসায়ী

Last Updated:

চাষের ক্ষেত্রে অবলম্বন করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতিকে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শিলিগুড়ি : করোনা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে বহু মানুষের জীবন জীবিকার পথ। দুবেলা দু'মুঠো অন্য জোগাতে অনেকেই পাল্টেছে তাদের পেশাগত জার্সি। তেমনি শিলিগুড়ির সেবক রোডের দুই ব্যবসায়ী অনিল কুমার আগারওয়াল ও প্রদীপ সিংহাল । তারা করোনাকালে পাল্টেছেন নিজেদের ব্যবসায়ী চিন্তাধারাকে। আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করেছেন এই দুই ব্যাক্তি। পলি হাউসে আধুনিক পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম চাষ করে অনেক কৃষককে নতুন আয়ের পথ খুঁজে দিচ্ছেন তারা।
advertisement

জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহাকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের অন্তর্গত রাধাজোত এলাকায় বেশ কয়েকবছর আগে তারা রিয়েল স্টেট এর ব্যবসার জন্য নেওয়া ১৫ একর জমি ক্রয় করেন। তবে বর্তমানে সেখানে তারা জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে সেখানে ১ একর জমিতে পলি হাউস তৈরি করে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাপসিকাম। তবে এই চাষের ক্ষেত্রে অবলম্বন করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতিকে। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় তাপমান নিয়ন্ত্রিত পলি হাউজের ভেতরে সাবস্ট্রেট ব্যবহার করে তার ভেতরে কোকোপিট দিয়ে চাষ করা হচ্ছে ক্যাপসিকাম।

advertisement

পলি হাউজের ভেতরে প্রায় ৯ হাজার চারা গাছ লাগানো হয়েছে। নেদারল্যান্ড থেকে বীজ এনে আপাতত দুই প্রজাতির ক্যাপসিকাম এখানে চাষ করা হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে আরো তিন প্রজাতির ক্যাপসিকাম চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে প্রায় এক বছর আগে থেকেই তারা এই চাষ শুরু করে । ইতিমধ্যে প্রতিটি কাছে ফলন শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি গাছে ৮ থেকে ১০ টি ক্যাপসিকামের ফলন হয়েছে। এই পলি হাউসের ভেতরে গাছে জল থেকে সার দেওয়া। কিংবা পলি হাউজের ভিতরে কতটা তাপমাত্রার প্রয়োজন রয়েছে তার সমস্ত কিছুই সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।

advertisement

View More

যদি পলি হাউসের ভেতরে তাপমাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে তার ভেতরে থাকা ফ্যান ও অন্যান্য মেশিন নিজে থেকেই চালু হয়ে যায়।ধীরে ধীরে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করে। এছাড়াও এখানে চাষের কাজের জন্য মোট ১৭ জন কর্মী রয়েছে। যার মধ্যে ৬ জন গ্রামের মহিলাও এখানে কাজ করছে। অমিত কুমার আগারওয়াল বলেন, যেভাবে দিনের পর দিন কৃষি জমিতে বড় বড় বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে তাতে কৃষিকাজ হারিয়ে যাচ্ছে। তাই কৃষিকাজ ও কৃষকদের স্বনির্ভর করতেই এই চাষ শুরু করেছি। দেশের কৃষক ও কৃষি বাঁচাতে হবে ও তাদের নতুন পদ্ধতি শিখিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নদী নাকি শুকিয়ে যাওয়া জমি ধরতে পারবেন! ইছামতীর প্রাণ ফেরাতে দারুণ উদ্যোগ
আরও দেখুন

অনির্বাণ রায়

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Siliguri News: পলি হাউজের ভিতরে ক্যাপসিকাম চাষ করে কৃষকদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন দুই ব্যবসায়ী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল