পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশিয়াড়ির খাজরা এলাকার বাসিন্দা তোতন দুয়া। প্রথাগতভাবে তিনি ধান চাষ না করে মোরাম পাথুরে জমিতে চাষ করেছেন ড্রাগন ফলের। প্রায় ৭০০ টি ড্রাগন ফলের গাছ লাগিয়েছেন তিনি। ক্যালিফোর্নিয়া, ভিয়েতনাম সহ একাধিক বিদেশি প্রজাতির সাথে স্থানীয় প্রজাতি মিলে মোট ১৭ টি প্রজাতির ড্রাগন ফলের চাষ করেছেন তার এই বাগানে। চাষির কথায়, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষ করলে সামান্য পরিচর্যায় প্রায় ৩০ বছর ধরে ফলন মিলে ড্রাগনের গাছ থেকে। স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য চাষের তুলনায় বার্ষিক বেশ লাভ পাওয়া যায় এই ড্রাগন ফলের চাষ করে।
advertisement
আরও পড়ুন: চেক বাউন্স হলে হতে পারে জেল ? দেখে নিন নিয়ম কী বলে!
জানা গিয়েছে বেশ লাভজনক এই ড্রাগন ফলের চাষ। বাজারে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হয় ড্রাগন। ১৭ টি প্রজাতির ৭০০ ড্রাগন ফলের গাছ লাগানোর পাশাপাশি তিনি বাণিজ্যিকভাবে রেড ভেলভেট ও পিংক রোজ ড্রাগনের চাষ করেছেন তিনি।
তোতন বাবু বলেন, প্রথাগতভাবে ধান চাষ না করে বার্ষিক লাভের আশায় বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এবং জৈব পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের চাষ করেছি। সামান্য পরিচর্যায় এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষ করলে বেশ ভালো ফলন মিলে। ধান চাষ বা অন্যান্য চাষের তুলনায় বার্ষিক বেশ লাভ পাওয়া যায় ড্রাগন ফলের চাষ করে।
প্রসঙ্গত বর্তমান বাজারে ড্রাগনের চাহিদা রয়েছে বেশ। নানা রোগের দাওয়াই হিসেবে এখন এই ফলের চাহিদা তুঙ্গে। স্বাভাবিকভাবে ড্রাগনের চাষ করে লাভের আশায় কেশিয়াড়ির এই চাষী।
Ranjan Chanda