সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁরা আদতে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার বাসিন্দা। তাঁর দাদু ৭০ বছর আগে ছত্তিসগঢ়ের বস্তারে এসেছিলেন। ফলে রাজারামদের পঞ্চম প্রজন্মের বাস বস্তারে। রাজারাম এলএলবি, অর্থনীতিতে এমএ এবং ডক্টরেট করেছেন।
জৈব চাষের জন্য সম্মানিত:
রাজারাম ত্রিপাঠীর দেশ জোড়া সুনাম রয়েছে। তিনি সাদা মুসলি, কালো মরিচ এবং ভেষজ চাষে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এমনকী মা দন্তেশ্বরী হার্বাল গ্রুপও পরিচালনা করেন তিনি। এভাবেই সারা দেশে নিজের একটা জায়গা তৈরি করেছেন রাজারাম। বর্তমানে তিনি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। কারণ সম্প্রতি তাঁকে প্রায় ৪০০টি উপজাতি পরিবারের সঙ্গে মিলে ১০০০ একর জমিতে সফল ভাবে যৌথ চাষের জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে। এটাই প্রথম নয়, এর আগে জৈব চাষের জন্য তিনি জাতীয় পর্যায়ে বেশ কয়েক বার সম্মানিতও হয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এনএসই-তে রেকর্ড, সর্বকালের সর্বোচ্চ দরে বন্ধ হল রিলায়েন্সের শেয়ার!
কৃষিকাজে হেলিকপ্টার কীভাবে ব্যবহার করা হবে?
ড. রাজারাম ত্রিপাঠীর কথায়, “ইংল্যান্ড এবং জার্মানিতে থাকাকালীন আমি দেখেছি যে, ওষুধ এবং সার প্রয়োগ করতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এর ফলও হাতেনাতে পাওয়া যাচ্ছে। এই বিষয়টি দেখার পরেই আমার মাথাতেও সেই আইডিয়া আসে।” এর পর তিনি তাঁর কৃষক দলের ১০০০ একর জমির পাশাপাশি আশপাশের চাষের জমিগুলিও হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল অশোধিত তেলের দাম! কলকাতায় ক হল পেট্রোল ডিজেলের দাম? জেনে নিন
রাজারাম ত্রিপাঠী আরও জানান, একটি কাস্টোমাইজড হেলিকপ্টার তৈরি করাচ্ছেন। কারণ তাতে যাতে মেশিন বসানো যায়। অনেক ধরনের পোকা ফসলের ক্ষতি করে। এমনকী হাত দিয়ে ওষুধ স্প্রে করলে বহু জায়গা বাদ পড়ে যায়। যার কারণে পোকার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। হেলিকপ্টার থেকে ওষুধ স্প্রে করা হলে ফসলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগ করা যায়, ফলে ফসলের ক্ষতি হবে না। রাজারাম এ-ও জানিয়েছেন যে, কৃষি এবং দন্তেশ্বরী ভেষজ গোষ্ঠী থেকে বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ২৫ কোটি টাকা।